প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের শীর্ষ নেতা ফ্রাঁসোয়া বায়রো। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তার নাম ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো। খবর রয়টার্স।
ফ্রান্সের শাসনব্যবস্থা প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী- উভয়ের ক্ষমতার ভারসাম্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। তার বিদায়ের এক সপ্তাহের মাথায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রাঙ্কোইস বায়রো’র নাম ঘোষণা করলেন ম্যাক্রোঁ। বায়রো অবশ্য আগে থেকেই ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
ক্ষমতা গ্রহণের পর ৭৩ বছর বয়সী বায়রোর প্রথম কাজ হবে ২০২৪ সালে পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত বাজেটের পথ সুগম করার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়ন করা। মূলত এই ইস্যুটি নিয়ে পার্লামেন্টে সরকারি ও বিরোধী এমপিদের অনাকাঙ্ক্ষিত লড়াই ও টানাপোড়েনের জেরেই বিদায় নিতে হয়েছে বার্নিয়েকে।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টে কট্টর ডানপন্থি, বামপন্থি এবং মধ্যপন্থী- সব দলের আইনপ্রণেতারা রয়েছেন। মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত বায়রো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন প্রণেতারা।
ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি দল হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল র্যালির (আরএন) প্রেসিডেন্ট জর্ডান বারডেল্লা রয়টার্সকে বলেন, আপাতত বায়রোর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কোনো পরিকল্পনা দলের নেই। আরএনের জ্যেষ্ঠ নেত্রী এবং পার্লামেন্টের বিরোধী দলীয় নেতা ম্যারিন লা পেন জানিয়েছেন, বায়রোর উচিত হবে বাজেট ইস্যুতে বিরোধীদের বক্তব্য শোনা।