শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার মেলর্বোনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মেলর্বোন বিএনপির উদ্যোগে ল্যাভারটন কমিউনিটি হাবে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য, রাজনৈতিক কর্মী এবং বিএনপির সমর্থকরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বক্তারা শহীদদের অবদান ও আত্মত্যাগের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। একই সঙ্গে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মেলবোর্ন বিএনপি নেতা তৌহিদ পাটোয়ারী ও সামসুল আরেফিন বিপুল। তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপির ভূমিকা এবং তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. শরিয়ার ফেরদৌস।
এ সময় বক্তারা গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার,গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকাসহ দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ প্রচারে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন।
অস্ট্রেলিয়া ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কায়াস মাহমুদ বলেন, আজ বাংলাদেশকে আমরা যে অবস্থানে দেখতে চাই, তার জন্য সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে যাচ্ছেন তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে, যেখানে একদিকে হবে অবকাঠামোগত বিপ্লব, অন্যদিকে জনগণের জীবনযাত্রার মান সুরক্ষিত হবে। তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিবর্তিত হবে। দেশের কৃষি, শিল্প, এবং সেবা খাতগুলো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষের জন্য থাকবে নতুন কর্মসংস্থান, নতুন উদ্যোগ, এবং উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ।
তিনি বলেন, তার নেতৃত্বেই দেশের উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। আজকের বাংলাদেশ যদি তারেক রহমানের নেতৃত্বে এগিয়ে চলে, তবে আমরা একটি দারিদ্র্যমুক্ত, আধুনিক, সুশাসিত এবং উন্নত বাংলাদেশ দেখতে পাব। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনের অধিকারী হবে। বাংলাদেশ হবে একটি মানবিক, ন্যায়বিচারভিত্তিক এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ, যা পৃথিবীজুড়ে একটি আলোকিত উদাহরণ হয়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হোক, এবং বর্তমান সরকারকে নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করতে হবে যত দ্রুত সম্ভব, যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত নেতা নির্বাচিত করতে পারে। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আমরা আশা করি বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে এবং তারেক রহমান আমাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলবোর্ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জালাল আহমেদ কুমু। তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ ভবিষ্যত গঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অস্ট্রেলিয়া ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মোহাম্মদ। সর্বশেষে একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে দেশাত্মবোধক গান ও অন্যান্য পরিবেশনার মাধ্যমে বিজয়ের চেতনাকে উদযাপন করা হয়।