রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭ পৌষ ১৪৩১

শিরোনাম: আমাদের কেবিনেটে অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা   খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ২৯ ডিসেম্বর   বিটিভির সংবাদ পাঠক সালেহ আকরাম আর নেই   নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি   এনআইডি সার্ভার অপব্যবহারে জড়িতদের রেহাই নেই: ডিজি   দেশের দীর্ঘতম ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা’র নিবন্ধন শুরু   ভারতকে খাটো করে দেখবেন না, বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি মিঠুনের   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
হেলাল হাফিজকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ

দ্রোহ ও প্রেমের কবি হেলাল হাফিজকে দাফন করা হবে রাজধানী মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী করবস্থানে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে সমাহিত করার আগে বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা হবে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কবির বড় ভাই দুলাল হাফিজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাতে হিমঘরে মরদেহ রাখা হবে।

সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তাকে ফোন করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওনার সঙ্গে আলাপ করে আমরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

হেলাল হাফিজকে স্মরণ করে তার ভাই বলেন, সে তো কবিতার মানুষ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক। প্রেস ক্লাবের পাশেই একটি হোটেল কক্ষে একাকী থাকত সে। আমরা তাকে বাসায় নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু সে থাকেনি। অসুস্থ হয়েছিল, তখন হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছি। সুস্থ হয়ে আবার হোটেলেই থাকা শুরু করে।

হেলাল হাফিজকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত
কোভিড পরবর্তী সময় থেকে হেলাল হাফিজ শাহবাগের সুপার হোস্টেলে থাকতেন জানিয়ে দুলাল হাফিজ বলেন, ‘এখানেও সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পরে তাকে সবাই হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু সে হোস্টেলেই থাকত।’

এর আগে আজ বেলা আড়াইটার দিকে কবি হেলাল হাফিজকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, বেলা ২টার দিকে শাহবাগের সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় কবিকে। সেখান থেকে দ্রুত বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয় তাকে। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় কবির।

হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য, হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। এ পর্যন্ত বইটির মুদ্রণ হয়েছে ৩৩ বারেরও বেশি। লেখালেখির পাশাপাশি হেলাল হাফিজ দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম কবিতাগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশের পর জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসেন কবি।

দেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলেন সময় হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’র পঙক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’- উচ্চারিত হয় মিছিলে, স্লোগানে, কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এর আগে খালেকদাদ চৌধুরী পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]