প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইউটিউব বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরমে ভিডিও নির্মাতারা নির্দিষ্ট ভিউয়ের বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ আয় করেন।
একজন ইউটিউবার তার একটি ভিডিওর মাধ্যমে কত টাকা আয় করবেন, সেটি নির্ভর করে তার ভিডিওটি কেমন, সেটি কোন কোন দেশ থেকে দেখা হয়েছে, সেসব দেশে ইউটিউবের বিজ্ঞাপণের রেট কেমন ইত্যাদির ওপর।
তবে অনেকে মনে করেন ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করতেই বুঝি আয় করা যায়। এই ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ইউটিউবের শর্ত মতো আপনার ভিডিওতে ভিউ হতে হবে। তারপরই আয় করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিডিওতে কত ভিউ হলে ইউটিউবে আয় করা যায়-
কোনো একটি ভিডিওর ভিউ অন্তত এক হাজার হলে তবেই তা থেকে টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি অন্তত এক হাজার জন দেখলে তবেই সেই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও থেকে ১-২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৭- ২ হাজার ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে আরও বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হবে এক ভিডিও থেকে।
তবে আপনার চ্যানেলে ১ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১ হাজার গ্রাহক থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার যে কোনো বা সব ভিডিওতে ৪ হাজার ঘণ্টা ‘ভিউয়ারশিপ টাইম’ থাকতে হবে। আপনি একবার ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিলে, আপনি আপনার ভিডিওগুলোতে দেখানো বিজ্ঞাপনগুলো থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এ ছাড়া ভিডিও লিংক থেকে, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে কিংবা বিজ্ঞাপন থেকেও ইউটিউবে ভালো পরিমাণ আয় করা যায়। স্পন্সর কন্টেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আবার ইউটিউব শর্টস থেকেও আয় করা যায়। ইউটিউব এখন ইউটিউব শর্টসও চালু করেছে। শর্টসে ব্যবহারকারীরা ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ছোট ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করতে পারেন। শর্টস থেকেও এখন ব্যবহারকারীরা অনেক অর্থ আয় করছেন।