প্রকাশ: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৪৮ পিএম আপডেট: ১৩.১২.২০২৪ ৪:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া যদি সংস্কার সম্ভব না হয়, গত ৫৩ বছরে কেন হলো না। রাজনৈতিক দলগুলোকে সেই জবাবটা দিতে হবে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাড়িচালকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন গেজেট আকারে দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজনৈতিক কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আকাশে যে মেঘ এসেছিল, দুদেশের স্বার্থেই সেই মেঘ সরাতে হয়েছে।
‘তবে দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঠিক রাখতে গিয়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই।’
অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালাকে আইনে রূপান্তর করে গেজেট প্রকাশের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘এই আইনের মাধ্যমে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। সচিবালয়ে হর্নের শব্দে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ঢাকার পরিবেশ নরকে পরিণত হচ্ছে।’
গাড়িচালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভাবুন হর্ন নষ্ট, বাজাবেন না। গাড়ির গতি কমালে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে।’
ঢাকার ১০টি এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই সচেতন হলে শব্দ দূষণমুক্ত একটি বাসযোগ্য শহর গড়া সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দা মাছুমা খানম, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির এবং মহাসচিব সৈয়দ আহসান হাবীব।