শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল   অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণ শেখ হাসিনার মতো হওয়া উচিত নয়: রিজভী   ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর   জান্তা জেনারেলসহ শত শত মিয়ানমার সেনাকে আটক করেছে আরাকান আর্মি    ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪৪   সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ   নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন লঙ্কান তারকা ক্রিকেটার   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
সিগারেটের শেষাংশ জমিয়ে কোটি টাকার মালিক!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ভারতে ২০১৮ সালে দুই ভাই নমেন গুপ্ত ও ভিপুল গুপ্ত সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করার চিন্তা শুরু করেন। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেন তারা। শুরুতে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তাদের এ উদ্যোগ বড় রূপ নিয়েছে। রীতিমতো এ জন্য কারখানাও গড়ে তুলেছেন দুই ভাই মিলে।

ভারতের ফেলে দেওয়া সিগারেটের বাঁট দিয়ে খেলনা, বালিশসহ বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে প্রশংসিত হচ্ছেন দুই তরুণ উদ্যোক্তা। এ জন্য দুই তরুণ মিলে গড়ে তুলেছেন কোড ইফোর্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক কোম্পানি, যেটির কারখানা ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে নয়ডা শহরতলিতে। কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা বলছেন, এই কাজের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি তারা পরিবেশ সুরক্ষায়ও কাজ করছেন। 

উদ্যোক্তা নমেন গুপ্ত বলেন, ‘আমরা শুরুটা করেছিলাম দিনে ১০ গ্রাম তুলা (ফাইবার) দিয়ে। এখন দৈনিক ১ হাজার কেজি তুলা সংগ্রহ করছি। এভাবে বছরে আমরা লাখ লাখ সিগারেটের বাঁট রিসাইকেল করছি।’

প্রথমে শহরের বিভিন্ন সড়ক থেকে সিগারেটের স্টাব বা বাঁট সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর সেটি থেকে ফাইবার বা তুলার অংশটি আলাদা করে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপর প্রক্রিয়াজাত এই তুলা থেকে তৈরি করা হয় নানা ধরনের পণ্য। কোড ইফোর্টের প্রতিষ্ঠাতা নমেন বলেন, একটি সিগারেটের বাঁটে তিনটি উপাদান থাকে- ফাইবার, কাগজ ও তামাক। আমরা এই তিনটি অংশকেই পুনর্ব্যবহার করছি। এখন পর্যন্ত রাস্তা থেকে ৩০ কোটির বেশি সিগারেটের বাঁট সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়েছে। এসব বাঁট দিয়ে নরম খেলনা, বালিশ, বিভিন্ন স্টেশনারি পণ্য ও বাড়ির সাজসজ্জার সামগ্রীসহ বেশ কয়েকটি পণ্য বানান তারা।

এ ছাড়া সিগারেটের বাঁটের বাইরের কাগজের স্তর ও উচ্ছিষ্ট তামাককেও আলাদা করে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা হয়। পরে এগুলো পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা হয় কাগজ ও কম্পোস্ট পাউডার। এ ছাড়া সম্প্রতি ডায়েরি, নোটপ্যাড, খাম ইত্যাদি বানানো শুরু করেছেন তাঁরা। ২০২৬ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ কোটি সিগারেটের বাঁট পুনর্ব্যবহার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন নমেন গুপ্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তাদের অনুমানে ভারতের ৩০ শতাংশ বা প্রায় ২৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। তাতে প্রতিদিনই কয়েক কোটি সিগারেটের বাঁট রাস্তায় ফেলা হয়। এতে রাস্তা ময়লা হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশদূষণও হচ্ছে। সেই দূষণ কমাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে দুই ভাইয়ের উদ্যোগ।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]