তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান
সিরিয়ায় শান্তির সম্ভাবনা ইসরায়েল নষ্ট করছে বলে অভিযোগ তুলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ‘গাজা ধ্বংসকারী ইসরায়েল এখন আমাদের সিরীয় ভাই-বোনদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।’
হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠী নভেম্বরের শেষের দিকে একটি আকস্মিক আক্রমণ শুরু করে। বেশ কয়েকটি প্রধান শহর দখলের পর অবশেষে রাজধানী দামেস্ক দখল করলে পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় পালিয়ে যান আসাদ।
সপ্তাহান্তে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই মিশনে সিরিয়ার কয়েকটি বিরোধী দলকে সমর্থন জানায় তুরস্ক।
তুরস্কের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে ফিদান বলেন, সিরিয়ার জনগণ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ইসরায়েল তাকে বিপন্ন করছে। গাজা ধ্বংসকারী ইসরায়েল এখন আমাদের সিরীয় ভাই-বোনদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিরিয়ার জাতীয় ঐক্য, স্থিতিশীলতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সমৃদ্ধিকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দেই। এসব লক্ষ্য অর্জনে আঙ্কারা সব আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কাজ করবে।
আসাদ সরকারের পতনের পরপরই ইসরায়েলি সেনারা গোলান মালভূমির কাছে বাফার জোন দখল করে নেয়। শুধু গোলান অঞ্চলেই নয়, সিরিয়াজুড়ে শত শত কাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, শনিবার থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার ৩২০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র ডিপো, ড্রোন, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, রাডার এবং নৌবাহিনীর জাহাজ।
এমন প্রেক্ষাপটে তুরস্কের দিকে আঙুল তুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি দেশটির নাম উল্লেখ না করলেও আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সমর্থন দেওয়া তুরস্কের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, হ্যাঁ, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্পষ্টতই এই বিষয়ে ভূমিকা পালন করেছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে - সবাই এটি দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু মূল ষড়যন্ত্রকারী, মূল পরিকল্পনাকারী ও কমান্ড সেন্টার আমেরিকা ও ইহুদিবাদী সরকারের মধ্যেই নিহিত।