বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: আজ দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল   ঘন কুয়াশায় ফেরি বন্ধ, পারের অপেক্ষায় শতাধিক যানবাহন   মালয়েশিয়ায় ২৬ হাজার প্রবাসী পাসপোর্ট সমস্যায়   জামায়াতে ইসলামী এখন অনেক স্মার্ট: ফখরুল   প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ পদোন্নতির প্রতিশ্রুতি হাসনাতের   ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিক্রম মিশ্রির ব্রিফ   বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
গভর্নরের কাছে ক্ষমা চেয়ে ব্র্যাক ব্যাংক এমডির চিঠি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এর চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর লিখিত চিঠিতে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান তিনি।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করে বলেন, গত ৪ঠা ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত সেমিনারে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিষয়ে যে কিছু অনভিপ্রেত মন্তব্য করেছি, তার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। 

পরবর্তী সময়ে বিশদভাবে চিন্তা করার পর আমি বুঝতে পারি যে, আমার কথাগুলো হঠকারী ও অবিবেচনাপ্রসূত ছিল, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মনে আঘাত দিতে পারে বা তাদের বিক্ষুব্ধ করতে পারে। তবে আমার সেরকম উদ্দেশ্য ছিল না। বোধহয় আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, সেটা ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি।

২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের আগে ব্যাংকিং খাতের বিষয়ে আমার মন্তব্যগুলো পূর্ববর্তী সরকারের কার্যক্রম থেকে উদ্ভুত এই খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমার হতাশা থেকে উৎসারিত ছিল। তবে এখন বুঝতে পারছি যে উক্ত মন্তব্যসমূহ যথাযথ ছিল না এবং সেসব বাংলাদেশ ব্যাংকের নিবেদিত কর্মকর্তাদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মানকে প্রতিফলিত করেনি।

কয়েক দশক ধরে ব্যাংকিং খাতে কাজ করার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা এবং আমাদের আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির প্রতি সর্বদা সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেছি। এই কর্মকর্তাদের অনেকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সৌভাগ্যও আমার হয়েছে এবং তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও সততার ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সংশয় বা সন্দেহ নেই। আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্যের জন্য যে আস্থা বা সহযোগিতা প্রয়োজন তাকে খাটো করা কখনই আমার উদ্দেশ্য ছিল না।

এবিবি’র চেয়ারম্যান বলেন, আমি স্বীকার করি যে একজন প্রবীণ ব্যাংকার হিসাবে তীব্র আবেগাক্রান্ত আমার মন্তব্যগুলি পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করেনি। সেসব ছিল নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত মন্তব্য যা ভালমন্দ বিবেচনার তাৎক্ষণিক ব্যর্থতার কারনেই করেছিলাম আমি। আমার কিছু মন্তব্যের কারণে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে বা কোনও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়ে থাকলে তার জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত ও দুঃখিত। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে ভবিষ্যতে আমি সদা সতর্ক থাকব এবং এই ধরনের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমি আশা করি, এই অনিচ্ছাকৃত মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থনা গৃহীত হবে এবং আমরা পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার চেতনায় একসঙ্গে আমাদের আরদ্ধ কাজ চালিয়ে যেতে পারব।

আমার অনিচ্ছাকৃত মন্তব্যে মাধ্যমে কাউকে আঘাত বা কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি আন্তরিকভাবে পূনরায় ক্ষমা চাইছি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল সেলিম আর এফ হোসেনের বক্তব্যের প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণকসহ ব্যাখ্যা দাবী করেন। কিভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ব্লাকমেইলিং করেছে তা এবং যারা করেছেন তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। 

আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর কর্মীদের বিষয়ে সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন এর মানহানিকর ঢালাও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসাথে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থণাপূর্বক তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। 

বিগত সরকারের সময়ে এবিবি এবং বিএবি সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপর বিভিন্নভাবে অন্যায় প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট ছিলো। এই দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যাংকিং সেক্টরের দুর্বৃত্তায়ন এবং ব্যাংকিং আইন দুর্বলকরণের অভিযোগ রয়েছে। তারা ব্যাংকের টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করে এসব আইন প্রণয়নকে প্রভাবিত করেছে।

এছাড়াও, বিগত সরকারকে তুষ্ট করতে ব্যাংকের টাকায় বিশেষ দু’টি চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানাবিধ অপেশাদার কর্মকান্ডের মাধ্যমে এবিবি প্রধান হিসেবে ব্যাংকিং সেক্টরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এখন নিজের দায় এড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকে একের পর এক অভিযোগ তুলছেন বলে অভিযোগ করেন অনেকে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]