ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশটির পণ্য বয়কটে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় ‘দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য’ এ ব্যানারে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে ন্যায্যমূলে দেশি পণ্য বিক্রি করা হয় এবং ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশটির তৈরি জয়পুরি বিছানার চাদর পোড়ানো হয়।
রুহুল কবির রিজভী দাবি করে বলেন, ‘বাংলাদেশ পেঁয়াজ ও আলু উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করে আমদানির নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। ২০২৩-এর আগেও আলু আমদানি করার প্রয়োজন হয়নি। এটা করেছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশিদের ভারত থেকে শাড়ি, সাবান, বিছানার চাদর বা অন্য কিছু কেনা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ ঠিক করা গেলে পেঁয়াজ, চাল ভারত থেকে কেউ নেবে না। ওরা (ভারত) মনে করেছে আমরা ওদের ওপর নির্ভরশীল; তাদের ছাড়া আমাদের চলবে না। কিন্তু এখন দেখছে বিষয়টা অন্যরূপ। এখন কলকাতা নিউমার্কেট ও ডিপার্টমেন্ট বন্ধ, তাদের হাসপাতাল বন্ধের উপক্রম।’
রিজভী বলেন, ‘সারা ভারত প্রতিদিন মুসলিম, খ্রিস্টান পাদরি হত্যায় রক্তাক্ত। এ কারণে তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কৃত্রিমভাবে বিনষ্ট করার জন্য চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজগুবি অপপ্রচার করছে। তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা চট্টগ্রাম নিজেদের দাবি করলে আমরা বাংলা-বিহার-ওড়িশা দাবি করব। আপনারা চট্টগ্রাম দখল করতে এলে আমরা কি ললিপপ চুষব?’
তিনি আরও বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী পাঠাতে বলেছেন। একটি সার্বভৌম দেশে কীভাবে অন্য একটি দেশ বাহিনী পাঠায়! এ থেকে প্রমাণ হয় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, এতে ভারতের রাজ্য থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির মন খারাপ। আদতে ভারতের রাজনীতিবিদদের গোড়া রসুনের মতো একই জায়গায়। তারা এ দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না; বন্ধুত্ব করে শেখ হাসিনার সঙ্গে।’
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খালেদ হোসেন ফাহিম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বিশ্বনাথ সরকার, মহানগরী বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী এশা, সদস্যসচিব মামুনুর রশীদ। বক্তব্য শেষে রুহুল কবির রিজভী স্বল্পমূল্যে লুঙ্গি, শাড়ি, সাবান ও পাঞ্জাবি বিক্রি করেন প্রান্তিক মানুষের মধ্যে।