জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা দূর করতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ৭০০ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করবে ফাউন্ডেশনটি।
গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০০ শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত সবকিছুই থাকবে। শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং একাডেমিক কাজের জন্য সেখানে ১০০ কম্পিউটারের ল্যাব থাকবে। প্রস্তাবিত সে হলে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মেয়েদের জন্যও ভবিষ্যতে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিক সংকট সাময়িক নিরসনে দেশি-বিদেশি অনুদান, স্পনসর পাওয়ার বিষয়ে প্রশাসন ৩ ডিসেম্বর একটি কমিটি গঠন করে। তারই প্রেক্ষিতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জে স্থায়ী হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী আবাসন নিশ্চিত করতে এ সমঝোতা স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আবাসন প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল, দারিদ্র্য, পারিবারিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ১০০ শতাংশ, ৭৫ শতাংশ, ৫০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে। অস্থায়ী আবাসনে উন্নতমানের লাইব্রেরি সুবিধা ও কম্পিউটার ল্যাব থাকবে। শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা ও নানা ধরনের দক্ষতা অর্জনের জন্য সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা-প্রশিক্ষণ কোর্স সুবিধা দেওয়া হবে। উক্ত আবাসনের যাবতীয় ব্যয় আস-সুন্নাহ বহন করবে। তবে অস্থায়ী আবাসন থেকে ক্যাম্পাসে যাতায়াতের পরিবহন ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি এবং আমার টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কাজেরই ফসল আজকের এই চুক্তি। তবে এটি শুরু, শেষ নয়। ইনশাআল্লাহ আমরা চলমান বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি সেসবের সুফল পেতে শুরু করব।’
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র উপদেষ্টা এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।