প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:১৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের একটি নিরাপত্তা সূত্র স্থানীয় মিডিয়ায় বলেছে, আসাদের পতনের পর ইসরায়েলের বিমান বাহিনী সিরিয়ায় সর্ববৃহৎ অভিযান চালিয়েছে।
সিরিয়ার দুইটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিরিয়ার অন্তত প্রধান তিনটি বিমানঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। এসব বিমানঘাঁটিতে সিরিয়ার কয়েক ডজন হেলিকপ্টার ও বিমান ছিল।
সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে কামিশলি বিমানঘাঁটি, হোমসের শিনশার ঘাঁটি এবং দামেস্কের আকরবা বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এর আগে গত রোববার ইসরায়েল বিমান বাহিনী সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রভাণ্ডার, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কেমিক্যাল অস্ত্রাগার স্থাপনা, অস্ত্র উৎপাদন স্থাপনা এবং ট্যাঙ্ককে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে।
ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ২৫০বার হামলা হয়েছে। তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আসাদের পতনের পর সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে অন্তত ৩০০ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন গতিতে ইসরায়েল হামলা চালালে সিরিয়ার বিমান বাহিনী কয়েকদিনের মধ্যে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। ব্রিটেনভিত্তিক ওয়ার মনিটর বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, শুধু সোমবারেই সিরিয়ায় সামরিক স্থাপনায় শতাধিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আব্দেল রহমান এএফপিকে বলেছেন, আজকে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় শতাধিক হামলা চালিয়েছে। যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তার মধ্যে বারজাহ সায়েন্টিফিক রিসার্চ সেন্টার আছে।
তিনি বলেছেন, আসাদ শাসনের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে ইসরায়েল হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে। তবে এসব হামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।