বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: ৪৭তম বিসিএসের আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর   জান্তা জেনারেলসহ শত শত মিয়ানমার সেনাকে আটক করেছে আরাকান আর্মি    ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪৪   সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ   নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন লঙ্কান তারকা ক্রিকেটার   হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইয়ে ব্যাটিংয়ে টাইগাররা   চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বললেন সেনাপ্রধান   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
২০২৪ সাল হতে চলেছে সবচেয়ে উষ্ণ বছর: রিপোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:৪৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ

চলতি বছর হতে চলেছে পৃথিবীর রেকর্ডে থাকা সবচেয়ে উষ্ণ বছর। এটি এখন কার্যকরভাবে নিশ্চিত। ইউরোপের জলবায়ু পর্যবেক্ষক সংস্থা কোপার্সনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।

সংস্থাটি মাসিক বুলেটিনে বলেছে, এই মুহূর্তে এটি কার্যকরভাবে নিশ্চিত যে, ২০২৪ হতে চলেছে উষ্ণতম বছর।

আরেকটি ভয়াবহ মাইলফলক হিসেবে প্রাক-শিল্প সময়ের চেয়ে ২০২৪ হবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম। শিল্প বিপ্লবের সময় থেকেই বিপুল পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়াতে শুরু হয়।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, এক দশক দীর্ঘ সময়ের মধ্যে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ১০ বছর ধরে চললে তা পৃথিবীকে বিপন্ন করে তুলবে।

কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের উপ-পরিচালক সামান্থা বার্গেস বলেন, বিশ্বকে কয়লা, তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্গমন বাড়ছে। এগুলো যখন পোড়ানো হয়, তখন জীবাশ্ম জ্বালানি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো ছেড়ে দেয়, যা পৃথিবীর মহাসাগর ও বায়ুমণ্ডলকে উষ্ণ করে তোলে। এটা জলবায়ু প্যাটার্ন ও পানি-চক্রকে ব্যাহত করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণতা চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে আরও ঘন ঘন ও প্রলয়ঙ্করী করে তুলছে।

বীমা জায়ান্ট সুইস রে চলতি মাসে জানিয়েছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোতে ২০২৪ সালে মোট ৩১০ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। 

এ ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষভাবে দুর্বল এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বছরে তাদের ১.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন হবে।

নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনায় ধনী দেশগুলো  ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ মুহূর্তে যে সময়কাল চলছে, তা সম্ভবত গত ১২৫,০০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম।

২০২৪ সাল এল নিনোর প্রভাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। এটি এমন একটি প্রাকৃতিক অবস্থা, যা উষ্ণ পানির চারপাশে ঘোরাফেরা করে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ায়।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এই ধরনের চক্রীয় পরিবর্তনশিলতা বায়ুমণ্ডল এবং সমুদ্রে রেকর্ড ভঙ্গকারী তাপ একা ব্যাখ্যা করতে পারে না।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ জলবায়ু উপদেষ্টা সংস্থা আইপিসিসি'র বিজ্ঞানী রবার্ট ভাটার্ড বলেছেন, সর্বশেষ এল নিনোর পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। তবে খুব ধীরে ধীরে। এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে। আমরা যত বেশি তথ্য পাচ্ছি যে, কী ঘটেছে তা আরও ভালভাবে বুঝতে পারব বলে আমরা আশা করছি।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]