প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:১২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ব্যাপক জনপ্রিয় গান‘বাঁশখালী মইশখালী পাল উড়াইয়া দিলে সাম্পান গুড়গুড়াই টানে’র শিল্পী সনজিত আচার্য্য আর নেই।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরলোকগমন করেন।
এ খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে চট্টগ্রামের সংগীত ও সংস্কৃতিজনদের মধ্যে। অনেকে ছুটে আসেন এ সংগীতজ্ঞের পাথরঘাটার বাসায়।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তিতুল্য এ সংগীত শিল্পী একাধারে গীতিকার, সুরকার, শিল্পী এবং নাটক ও চলচ্চিত্রের কাহিনীকার ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্ট্রোক করলে এ শিল্পীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
শিল্পী কার্তিক মজুমদার পলাশ জানান, শত শত শিল্পী আছেন সনজিত আচার্য্যের হাতে গড়া। তার মৃত্যুতে আঞ্চলিক গানে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়। এটি সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি।
সুপ্রিয়া মজুমদার, সনজিত আচার্য্য দাদা আমাকে আঞ্চলিক গান শিখিয়েছেন। তার সঙ্গে অনেক স্মৃতি। কয়েকদিন আগেও কয়েকটি গান গেয়েছি উনার সঙ্গে। সম্পূর্ণ সাপোর্ট দিয়েছেন। দাদার কারণেই আঞ্চলিক গানে আসা।
৭০ এর দশকের শেষের দিকে সনজিতের আঞ্চলিক নাটক ‘সাম্পানওয়ালা’ নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলেন প্রয়াত সংগীত কিংবদন্তী সত্য সাহা, যে ছবি গোটা দেশে আলোড়ন তুলেছিল। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানে শেফালী ঘোষ ও শ্যামসুন্দর বৈষ্ণবের কালজয়ী জুটির পর সনজিত আচার্য-ক্যলাণী ঘোষ জুটিই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটি।
সনজিত-শেফালী, সনজিত-কল্যাণী এবং সনজিত-কান্তা নন্দীর দ্বৈতকণ্ঠে গাওয়া ‘বাজান গিয়ে দইনর বিলত/ পাটি বিছাই দিয়্যি বইও ঘরত...’, বাঁশ ডুয়ার আড়ালত থাই/ আঁরারে ডাকর কিয়রল্লাই...’, ‘গুরা গুরা হতা হই/ বাগানর আড়ালত বই/ পিরিতির দেবাইল্যা আঁরারে বানাইলা’সহ অনেক গান চিরসবুজ আঞ্চলিক গান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।