যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত।
ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রান করে অলআউট হয়ে যায়।
জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোনঠাসা হয়ে যায় ভারতও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হলো ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সে সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের যুবারা।
এদিন বড় সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় যুবা টাইগাররা। ৪৯ ওভার ১ বলে ১৯৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে রিজান হোসেন করেন সর্বোচ্চ ৬৫ বলে ৪৭ রান। এছাড়া শিহাব জেমস ৬৭ বলে ৪৯ ও ফরিদ হাসান করেন ৪৯ বলে ৩৯ রান।
১৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। বাংলাদেশের পেসারদের তোপে ৪৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। আয়ুশ মাহাত্রী ১, বৈভব সূর্যবংশী ৯ ও আন্দ্রে সিধার্থ ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর কার্তিয়া ও অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান মিলে চাপ সামল দেওয়া চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৭৩ রানে ৪৩ বলে ২১ রান করে আউট কন কার্তিয়া। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। হারভাংস পাংগালিয়া ৬, কিরণ চোরমেল ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নিখিল কুমার।
এরপর হার্দিক রাজকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আমান। ৩৪ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ১১৫ রানে ৬৫ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান আমান। এর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ৩৫ ওভার ২ বলে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। এতেই শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতে উঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
এক বছর আগে ২০২৩ সালে এই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বাংলদেশ।