বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের যেসব কর্মসূচি   র‍্যাবে আয়নাঘর ছিল, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিজি   দেশে ফিরেছেন মির্জা ফখরুল   আশুলিয়ায় আজও ১২ শিল্পকারখানা বন্ধ   ভারতে বসে হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না মোদি সরকার    বিএনপির যৌথসভা বিকেলে   চান্দনা চৌরাস্তায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জানা গেল সিরিয়ায় আসাদের পতনের মাস্টারমাইন্ড কে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: রোববার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। সংগঠনটির প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানিকেই আসাদ সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়তেই অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রাজধানী ত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট। 

২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ গত কয়েক বছরে বেশ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায়। তবে শেষ রক্ষা আর হলো না। হঠাৎই গত ১০ দিনের ঝড়ে উল্টে গেল বাশার আল-আসাদের মসনদ।

আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৯৮২ সালে সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি। তার প্রকৃত নাম আহমেদ হুসাইন আল-শারা। তার বাবা ছিলেন একজন পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী। ১৯৮৯ সালে সিরিয়ায় ফিরে এসে দামেস্কের অদূরে বসতি স্থাপন করে তার পরিবার।

তবে এরপর জোলানি কী করতেন, তা জানা না গেলেও ২০০৩ সালে সিরিয়া থেকে ইরাকে পাড়ি দিয়ে আল-কায়েদায় যোগ দেন তিনি। ওই বছরই ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ২০০৬ সালে জোলানিকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ছাড়া পান।

এরপর তার নেতৃত্বে সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত। প্রথম দিকের কয়েক বছর জোলানি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আবু বকর আল-বাগদাদির সঙ্গে কাজ করেন। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে আকস্মিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন বাগদাদি।

এরপর জোলানি সিরিয়ায় নিজের প্রতিষ্ঠিত আল-কায়েদা শাখার তৎপরতা বৃদ্ধিতে কাজ শুরু করেন। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নেয় বাশার সরকার। তখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ইদলিবের দিকে চলে যায়। ওই সময়টাতে জোলানি আল-নুসরা ফ্রন্টের নাম পরিবর্তন করে জাভাত ফাতেহ আল-শাম রাখেন।

পরে বিদ্রোহীদের ছোট ছোট অনেক গোষ্ঠী ও নিজের জাভাত ফাতেহ আল-শামের সমন্বয়ে এইচটিএস গঠন করেন জোলানি। ২০১৭ সালে সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে এইচটিএস। এর মাধ্যমে তারা দেশটির ইদলিবে প্রশাসন পরিচালনা শুরু করে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]