দেশের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে’ আয়োজিত এক সমাবেশে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন তারা।
সমাবেশে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর একের পর এক আগ্রাসী আচরণ করছে ভারতের গণমাধ্যম ও কিছু রাজনীতিক। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকার অবমাননা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি।
তারা বলেন, আমরা ঐক্যের উদ্যোগ নিয়েছি, তা আজ এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনও অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হলে তা দেশাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রুখে দিতে চাই। আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষার শপথ নিয়েছিলাম। সেই শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে।
সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয়, সম্পর্ক হতে হবে সমতার ভিত্তিতে।
সমাবেশে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মানেশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়ে কারফিউ উপেক্ষা করেছি। সেদিনের মতো যেকোনও প্রয়োজনে আমরা দেশের জন্য রাজপথে থাকবো। যেকোনেও পরিস্থিতিতে দেশের পাশে থাকবো।’
সমাবেশে বিগত সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো প্রকাশের দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’সহ নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আহসান উল্লাহ বলেন, আমাদের আজকের আয়োজন ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য। এ দেশ ১২ আউলিয়ার। একইসঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ জন্মেছে। সুতরাং এটা অসম্প্রদায়িক দেশ। এ দেশের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।
তিনি বলেন, দেশে এখন আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হবে না। এখন নীতি হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে। অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক যেমন হবে ভারতের সঙ্গেও তেমনই হবে। আগের মতো পররাষ্ট্রনীতি এখন আর হবে না।