প্রকাশ: শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশের উত্তরাঞ্চলে এবার অগ্রহায়ণেই শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। জবুথবু জনজীবন, ভোগান্তি পোহাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষজন।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নওগাঁয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জেলায় শনিবার সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এ জেলার তাপমাত্রা কমেছে ২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারপাশ। সকাল হলেই কেটে যাচ্ছে শীত।
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সকালে সদর উপজেলার সামনে কথা হয় রিকশাচালক কুরবান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সারা দিন যখন গরম থাকে তখন যাত্রী পাওয়া যায়। রিকশাও ভালোভাবে চালানো যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর কিংবা সকালে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। শীতের কারণে রিকশা ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে আয় উপার্জন কমে গেছে।’
এদিকে, শীত বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।