প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরিশাল রেঞ্জের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার সকালে পরিদর্শনকালে তিনি বাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দেশের মানব নিরাপত্তা, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক সংকট উত্তরণে আনসার বাহিনীর কার্যকরী ভূমিকা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
এসময় ‘সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের অঙ্গীকার’ স্লোগানটিকে সামনে রেখে দেশের আর্থ সামাজিক পট পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জোরালো উদ্যোগ ও সম্ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্বীয় ভূমিকা পুনর্জীবিত করার জন্য বাহিনীর মহাপরিচালক নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে প্রান্তিক কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। ধান কেটে দেয়ার মত শ্রমসাধ্য কাজের মাধ্যমে সাধারণ কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তারা প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখছে খাদ্য নিরাপত্তায়। এবছর দেশের ৬টি জেলায় ৫০০ জনেরও বেশি আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা ধান কেটে ও মাড়াই করে দরিদ্র কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্বেচ্ছা সেবার ভিত্তিতে।
বরিশাল রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে মহাপরিচালক বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সকল পর্যায়ের দায়বদ্ধতা ও অধীনস্তদের মৌলিক অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা অনুসরণে আরো বেশি নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রম ও পরিবেশ রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তরুণ সমাজের কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে আরো বেশি যুগোপযোগী ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুগোপৎ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজস্ব পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে গতিশীল ও নতুন প্রজন্মের কর্মক্ষেত্রসমূহের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য মহাপরিচালক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
জনগণের ট্যাক্সের টাকায় রাজস্বখাতে রবাদ্দকৃত প্রতিটি পয়সার জবাবদিহিতা ও সমাজের উন্নয়নে দৃশ্যমান ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে-এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে। বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে মহাপরিচালক বাহিনীর সদস্যদের আবাসনের মৌলিক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট থাকার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সক্ষমতা-মৌলিক অধিকার-কল্যাণ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পাদনে সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণমূলক চেতনায় উজ্জীবিত হতে মহাপরিচালক অনুপ্রেরণা প্রদানপূর্বক পরিদর্শন শেষ করেন।