আগামী ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করতে আসবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তারা এর মধ্যে এসে পড়ছেন বলে নানা খবরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ব ইজতেমার খালি ময়দানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য ময়দানে মোতায়েন হয়।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শুরায়ে নেজামের ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা সমাপ্ত হয়। এরপর জোড় ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ময়দান ছাড়া শুরু করেন। আজ বুধবারও ময়দান থেকে মুসল্লিরা চিল্লার দায়িত্ব পালন করতে দেশ-বিদেশে যাওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে বেরিয়ে যান।
এ সময় হঠাৎ করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য ময়দানে আসেন। তারা ময়দানের সব গেটের সামনে ও ভেতরে অবস্থান নেন। বিশেষ করে বিদেশি খিত্তার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শক্ত ঘাঁটি করে।
বিশ্ব ইজতেমায় অবস্থান করা হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার করগাঁও এলাকার আজুল মিয়া (৮৫) বলেন, ‘পাঁচ দিনের জোড়ে এসেছিলাম।
আগামী শনি-রবিারের মধ্যে চিল্লায় ফরিদপুর যাব।’
বিদেশি খিত্তার ২ নম্বর গেটে পাহারার দায়িত্বে থাকা আবু সিদ্দিক (৬৬), আনোয়ার হোসেন (৭৩) জানান, জোড় ইজতেমা শেষে মাল সামানা গোছানোর কাজ করছি। কাজ শেষে দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে পড়ব। বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা কিছু জানেন না বলে জানান।
নিজামুদ্দীন মার্কাজের অনুসারী তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘আমরা তুরাগ নদের পশ্চিমতীরে মাসোয়ারা করছি।
আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ইজতেমা ময়দানে আমাদের জোড় ইজতেমা শুরু হবে। সে বিষয়ে মাসোয়ারা চলছে। হয়ত জুবায়েরপন্থীরা পুলিশকে মিথ্যা খবর দিতে পারে যে, আমরা ময়দান দখল করব।’
শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ‘সাদপন্থীরা ২০ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা করতে চায়। অথচ সরকারিভাবে বলা হয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি তারা দ্বিতীয় পর্ব করতে ময়দান বুঝে নেবে। ইজতেমা ময়দানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেজন্য হয়ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশে আমরা এসেছি। প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি।’ হঠাৎ করে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা জানি না, সিনিয়র অফিসাররা বলতে পারবেন।’
তবে আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৪টায় অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে দেখা গেছে।