প্রকাশ: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:২৮ পিএম আপডেট: ০৪.১২.২০২৪ ৭:১৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর প্রায় ৪৩ মাস পর জামিনে কারামুক্ত হলেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম কারা ফটকে বাবুল আক্তারের মুক্তির খবরে তার আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করেন। এ ছাড়াও কর্মজীবনে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল এমন অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীরাও ভিড় করেন বিকেল গড়াতেই।
জেল গেটে বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশ এবং আদালতের জামিন পরোয়ানা পাঠানোর পরেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি তিনদিন ধরে। এ বিষয়ে আমি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি। পরে ডাকযোগে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়েছি। সেখানে বাবুল আক্তারকে বেআইনি আটক করে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আইনের ধারা অনুযায়ী, প্রতিটি ঘণ্টা হিসাবে বেআইনিভাবে আটক করে রাখার শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড। এ ছাড়াও আদালতের আদেশ অমান্য করে কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননা করছে। আদালতের মুক্তি পরোয়ানা পেয়েও কার হুকুমে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দি করে রেখেছে তা একমাত্র তারাই জানেন। এই বেআইনি আটকের জন্য বাবুল আক্তার চাইলে মামলাও করতে পারেন।
এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর বাবুল আক্তারকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাবুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
জামিন পেলেও গত বৃহস্পতিবার বাবুলের জামিননামা স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন তার শ্বশুর ও মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন। শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হলেও আদেশের তারিখ পিছিয়ে যায়। বুধবার শুনানি শেষে তার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত তার জামিন বহালের আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরের জিইসি এলাকায় ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দিতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে বাবুল আক্তার সেই মামলায় আসামি হন।