বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: টঙ্গীর জোড় ইজতেমায় আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু   আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে : তারেক রহমান   খালেদা জিয়ার চীনা রাষ্ট্রদূত, দিলেন ‘বিশেষ উপহার’   পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ   ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ   নারীদের ব্যবহার করে টাকা পাচার করতেন গান বাংলার তাপস   নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
দেশের ১৭ কারাগার ঝুঁকিপূর্ণ, ৭০ জঙ্গিসহ পলাতক ৭০০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

দেশে এ মুহূর্তে ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এ কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার। ৫ আগস্টের পর ৫০ হাজারের কিছু বেশি বন্দি ছিল। তারপর কারাবন্দির সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছে ৬৫ হাজার।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মোট ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এরমধ্যে ১৭টি কারাগার অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে। এগুলো অতিদ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট ও পরবর্তী সময়ে ২২ শতাধিক কারাবন্দি পালিয়েছিল। ১৫শ জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। ৭০০ বন্দি এখনো পলাতক।

এক প্রশ্নের জবাবে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, বিভিন্ন মামলায় দাগি আসামি বা যাদেরকে শীর্ষ সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে তাদের ১১ জন মুক্তি পেয়েছেন। যাদের জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলা হয়েছে তাদের ১৭৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পালানো বিভিন্ন আলোচিত মামলা ও জঙ্গি সদস্যের মধ্যে এখনো পলাতক ৭০ জন। তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চারজন জেল সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কিছু অভিযোগের পর্যালোচনা ও তদন্ত চলছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

কারা মহাপরিদর্শক বলেন, কোন মামলার কোন আসামি জামিন পাচ্ছেন তা আমরা জানানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা একটি 'হট লাইন নম্বর' চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেটি চালু হলে জানতে সুবিধা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন এক বন্দির ওপর হামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ‘যখন আমরা কোনো বন্দিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই, কারাগারের বাইরে হলেও সে জায়গাটা কিন্তু কারা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণে বা আওতায়। কারণ সেখানে নিরাপত্তায় কারারক্ষী থাকেন। নিরাপত্তা দুর্বলতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বন্দির উপরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল। তবে সেখানে কারারক্ষী ছিল ও তাদের হস্তক্ষেপের কারণেই ঘটনাটি বেশি দূর গড়াতে পারেনি।

পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সেটা হচ্ছে কারা হাসপাতাল। কারা হাসপাতালে কাজটি সম্পন্ন হলে কারাবন্দিদের আর সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর প্রয়োজন হবে না, তখন নিরাপত্তাহীনতাও থাকবে না।’

লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল সরকার আমাদেরকে কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের পরামর্শ বা মতামত দেননি। আমরা গত ৫ আগস্টের পর প্রচুর জনসাধারণের ফিডব্যাক পেয়েছি। সেটির মূল বিষয় ছিল কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের বিষয়।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে প্রতিটি কারাগারের ঘটনা পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কারাগারের অবকাঠামোগত দুর্বলতা ছিল। আরেকটি বহিঃনিরাপত্তা, যেটি পুলিশ সদস্যরা দিয়ে থাকেন। বহিঃনিরাপত্তা অনুপস্থিতির কারণে আমরা কারাগার থেকে পালানো ঠেকাতে পারিনি। আমরা অভ্যন্তরীণ ও বহিঃনিরাপত্তার কিছু দুর্বলতা শনাক্ত করেছি সেগুলো সরকারকে জানানো হয়েছে।

নরসিংদী জেলা কারাগারের জেল সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০১ জন কারাগারে নিয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। তাদের অনেককেই আমরা সহযোগিতা করেছি।’

রাজনৈতিকভাবে যারা ডিভিশিন পাওয়ার উপযুক্ত তারা সবাই ডিভিশন পাচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক বলেন, ডিভিশন পাওয়ার দুটি বিধান আছে। একটি হচ্ছে প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, আরেকটি সমাজের গণমান্য, মন্ত্রী-এমপিরা। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হয়। এটা তাদের এখতিয়ার। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ডিভিশনের নির্দেশ দেন। অনেকে ডিভিশন পেয়েছেন, অনেকের ডিভিশন পাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

চিকিৎসাধীন বন্দিদের নিরাপত্তা সম্পর্কে তিনি বলেন, কোনো সরকারি হাসপাতালে কিন্তু প্রিজন সেল নাই। এটা আমাদের দুর্বলতা। সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে প্রিজন সেল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অনেক ক্ষেত্রে অন্যান্য সাধারণ রোগীর সঙ্গে বন্দিদের চিকিৎসা দিতে হয়। কারা হাসপাতাল হয়ে গেলে এ সমস্যা সমাধান হবে।

কারা কর্মচারীদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারা বিষয়টি তো সার্ভিস। সিভিল সার্ভিসের বিধানের আলোকে কারা কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু কারা অধিদপ্তরে কর্মরতদের কার্যক্রম পোশাকধারী ও অস্ত্রধারী দুটোই আছে। একই আইনের কারা অধিদপ্তর পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা মনে করছে। সেজন্য আমরা ভিন্ন আইনের কথা বলছি।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মনির আহমেদ, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. আবু তালেব, সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন ও মিডিয়া) মো. জান্নাত উল ফরহাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]