প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সামরিক চেতনাবোধকে সমুন্নত রেখে যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে সবসময় প্রস্তুত থাকতে নবীন সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি ও ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘নবীন কর্মকর্তাদের ওপর অর্পিত হবে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।’
তাই তাদের যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নিজের বিবেকের দারস্থ হওয়ান আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় কমিশন পাওয়া কর্মকর্তাদের যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশপ্রেমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার নিদের্শনা দেন সেনাপ্রধান।
প্রত্যেক সেনাসদস্যের সাহসিকতার সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা ও মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষাই প্রথম এবং প্রধান কাজ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছান সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে তাকে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান।
শুরুতেই তিনি নবীন ক্যাডেটদের অভিবাদন গ্রহণ করে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এরপর পুরস্কার পাওয়া ক্যাডেটদের হাতে স্মারক তুলে দেন।
এবার সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠ কৃতিত্বের জন্য সোর্ড অব অনার অর্জন করেন ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুল্লাহ আল আরাফাত। দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৭তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ২১৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৫৯তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ১৪ অফিসার ক্যাডেট ও চার ট্রেইনি অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করলেন। কমিশন পাওয়া অফিসারদের মধ্যে ২০৭ পুরুষ ও ২৪ নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।