প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:৫৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সেবা খাতে দুর্নীতি নিয়ে এক জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুষের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। এই পরিমাণ অর্থ দেশের মানুষ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেবা পেতে খানা বা পরিবার প্রতি ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। গড় ঘুষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংক খাতে। সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতি ও ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুষের শিকার হয়েছে।
প্রতিবেদনে টিআইবি বলছে, দেশের আট বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোট ঘুষের ন্যূনতম প্রাক্কলিত পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। দুর্নীতিবাজদের আগের মতো মানুষ ঘৃণা করে না। দুর্নীতিবাজদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সভাপতি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকই দেশের সব ব্যাংকসহ আর্থিক খাতকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে বলেও অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘দুদক সবচেয়ে অকার্যকর ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর সরকারি অফিস বিশেষ করে পাসপোর্টে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করা হয়, যা থেকে এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সুবিধা পেয়ে থাকেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যাদের দুর্নীতি রোধ করার কথা, তারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। যে কারণে দেশে দুর্নীতি কমছে না। গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার।’