রাজধানীর ডেমরায় সারুলিয়া এলাকায় সোমবার বিএনপির সন্ত্রাস বিরুধী মিছিলে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কতিপয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে দশজনকে আহত করেছেন বলে দাবী বিএনপি নেতাদের। এসময় সারুলিয়া বাজারে কয়েকশত দোকানদার আতংকিত হয়ে পড়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
দলীয় সূত্রে জানাযায়, সারাদেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঘোষিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের অংশ হিসিবে ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদের সমর্থক ডেমরা থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া ও সারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে ও অপরদিকে নবী উল্লাহ নবীর সমর্থক আনিসুজ্জামান ও এস এম রেজা চৌধুরী সেলিম মিয়ার নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়।
এসময় ৬৮ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুদ্র খাঁন, ছাত্রলীগ নেতা শাহীন মিয়া, মনির মিয়া, মামুন মিয়া, রোহান মিয়া, সুজাত মিয়া, ইমন মিয়া, জাকির মিয়াসহ ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে ডেমরা থানা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া, তার ভাই যুবনেতা আমির হোসেন, সারুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, ডেমরা জাসাসের সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক খাঁন, যুগ্ন সম্পাদক দ্রুব মিয়া, যুবদলের ৬৮ নং ওয়ার্ডের ৩নং ইউনিটের সভাপতি হৃদয় মিয়া, ৬৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা সৌরভ মিযা, ইয়াসিন মিয়া, জনি মিয়াসহ কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ডেমরা থানা যুব দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া ও সারুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমরা কেন্দ্রের নির্দেশে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করলে জামান সেলিমের নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের মিছিলের পিছন থেকে হামলা চালিয়ে দশজন নেতাকমীকে আহত করেন। অপরদিকে আনিসুজ্জামান ও সেলিম মিয়ার সাথে যেগাযোগ করা হলে তারা জানান, এ হামলার সাথে তারা জড়িত নন।
এদিকে সারুলিয়া বাজার এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় পুরো বাজার এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়অ ও সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।