প্রকাশ: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গুমের অভিযোগে র্যাব-২ এর সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ফলে এই প্রথম কাউকে ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাদের হাজিরের পর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা।
এর আগে, সকাল ১১টায় তাদের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের হাই-সিকিউরিটি সেল থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এসময় দুজনকেই হাসিখুশি থাকতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দুজনই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কর্মকর্তা ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গুম ও গুমের সময় সরাসরি নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরে প্রসিকিউশন জানায়, তদন্তের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই ট্রাইব্যুনালে দুটি আবেদন করা হয়। আবেদন দুটি মঞ্জুর করে আদালত তাদের হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে গুমের বিষয়ে একটি মামলা করা হয়। এ দুজনের একজনের নাম আলেপ উদ্দিন ও আরেকজনের নাম মহিউদ্দিন ফারুকী।
গত ১৩ নভেম্বর রাতে বরিশাল মহানগর এলাকা থেকে আলেপ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয় এবং একইদিন ভোরে রাঙামাটি জেলার কাউখালী (বেতবুনিয়া) এলাকা থেকে মহিউদ্দিন ফারুকীকে গ্রেফতার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর শনিরআখড়ায় জোবায়ের ওমর খানের মৃত্যুর মামলায় এ দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার আছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়া এলাকায় জোবায়ের ওমর খান গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ট) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা করেন জোবায়েরের ভাই।