প্রকাশ: রোববার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৫৯ পিএম আপডেট: ০১.১২.২০২৪ ৮:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে ১০০ সনাতনী পরিবার গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেয়, ছবি : সংগৃহীত
পটুয়াখালী শহরের ১০০ সনাতনি পরিবার গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিয়েছে। এ সময় তারা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী পৌর শহরের টিনপট্টি এলাকায় জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গণে জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জন আকাঙ্ক্ষার রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় এসে গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেয়।
এ সময় নুর বলেন, হিন্দুদের ব্যবহার করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী বিদেশি এজেন্টরা দেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটানোর চেষ্টা করছে। সরকার কঠিন হাতে তাদের প্রচেষ্টা প্রতিহত করেছে। জনসাধারণকে বুঝতে হবে দিল্লিকে খুশি রেখে তাদের গোলামি করে যারা এতদিন ক্ষমতায় ছিল, তাদের পতনে দিল্লি খুশি নয়। সে কারণে তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, তাদের সমর্থিত নতুন সরকারায়নের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যদি কেউ চাঁদাবাজি ও দখলের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তবে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হবে। জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে অর্জিত সফলতা বিফলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও জন আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে হবে, পরে নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তিনি বলেন, বতর্মান সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জন সমর্থন পাওয়া সরকার। ডান, বাম, বিএনপি, জামাতসহ সব রাজনৈতিক দল এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। অনেক জায়গায় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাঁদাবাজ মাফিয়াদের দমন করছে। তবে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে নজর দিতে হবে। প্রশাসনের অনেকে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সেদিকে সরকারকে লক্ষ রাখতে হবে।
গণ অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিট নেতারা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শহরের শতাধিক সনাতনী পরিবার নুরুল হক নুরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেন।