জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, চক্রান্ত ষড়যন্ত্র এখনো চলছে পতিত স্বৈরাচারের শকুনেরা এখনো উঁৎ পেতে বসে আছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেব না।
তিনি যশোর থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত শুভেচ্ছা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
যশোর বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা সড়ক সেতুর পূর্বপাশে আয়োজিত বিশাল এই শুভেচ্ছা সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পতিত সরকার ধরে নিয়েছিল তারা ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বন্দোবস্ত নিয়ে নিয়েছে কিন্তু আল্লাহতালার পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। যে মহান রাব্বিল আলামিন আরশে আজিমের মালিক তার ফয়সালা ছিল ভিন্ন।
তিনি বলেন, যারা মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছিল তারা ভাবতেও পারিনি ২৪ সালের আগস্ট মাসে তাদের এমন পরিণতি হবে।
আমিরে জামায়েত আরও বলেন, ছাত্র-জনতার দ্বিতীয় এই বিজয় আমরা কোনভাবেই নস্যাৎ করতে দেব না। এ ব্যাপারে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
শুভেচ্ছা সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঝিকরগাছা পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক হারুন অর রশিদ। এতে বক্তব্য রাখেন, চৌগাছা ঝিকরগাছা আসনের জামায়াতের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা আরশাদুল আলম।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল আলিম, সাবেক এমপি মকবুল হুসাইন, ঝিকরগাছা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, চৌগাছা উপজেলা আমীর মাওলানা গোলাম মোর্শেদ, ঝিকরগাছা উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মাহাবুবুর রহমান, শেখ আব্দুর রকিম, চৌগাছা উপজেলা সেক্রেটারী রহিদুল ইসলাম খান। এসময় বক্তব্য রাখেন, চৌগাছা উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামাল আহম্মেদ, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম মাহবুবু উল আলম মন্টু, মুফতি মাওলানা সাইফুল্লাহ, মাওলান সাইফুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, আব্দুল খালেক,নাভারন ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক, এড. আবিদুর রহমান, কবির বিন সামাদ, এড হাবিব কাইসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা জামায়াত আয়োজিত এই শুভেচ্ছা সমাবেশ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। মহাসড়ক ও তার আশপাশ এলাকায় জামায়াত নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় এই সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা সমাবেশ। দলীয় পর্যাপ্ত সংখ্যক নেতাকর্মীর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষথেকেও নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।