প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনায় এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক আকাউন্টে এক পোস্টে সারজিস বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে গতকাল রাতেই অন্য গাড়িতে করে ঢাকা ব্যাক করলাম। পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম। এখন শুনছি সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পেছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে!’
তিনি বলেন, ‘এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত? কয়জন হাসনাত মারবেন? মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা? একজনকে যখন বুলেটের আঘাতে মরদহে বানিয়েছেন তখন সেই জায়গায় অন্যজন দাঁড়িয়ে গিয়েছে! কিন্তু পিছু হটেনি।’
সারজিস আরও বলেন, ‘ঠিক একইভাবে এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত। এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না। এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয়; আমরা মরতে শিখে গিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার সকালে দুবার সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ঘটনাগুলোকে সন্দেহজনক মনে করছেন হাসনাত। দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে সময় সংবাদকে হাসনাত জানান, দুইবার তার গাড়িতে আঘাত করা হয়েছে। একবার মাতুয়াইলে আরেকবার গুলিস্তানে।
‘ঘটনাগুলো আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। এখন পুলিশ এগুলো তদন্ত করে বের করবে’, মোবাইল ফোনে বলেন হাসনাত।
মাতুয়াইলে হাসনাতের গাড়িতে পেছন থেকে এসে আঘাত করে একটি মিনি ট্রাক। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ। পোস্টে এই ঘটনাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে বুধবার চট্টগ্রাম থেকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে একটি ট্রাক এসে আঘাত করে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে এই ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতে ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক জব্দের পাশাপাশি চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশ।