প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্বের সব দেশেই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ রয়েছে। তবে সবচেয়ে জমজমাট লিগ হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। প্রতিটি খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে আইপিএলে খেলার। কয়েক দিন আগে আসন্ন আসরের জন্য মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু নিলামের সংক্ষিপ্ত তালিকায় বাংলাদেশি ১২ ক্রিকেটার থাকলেও কেউই দল পাননি। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান থেকে শুরু করে লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ কিংবা রিশাদ হোসেনদের সুযোগ হয়নি। বিষয়টি পীড়া দিচ্ছে ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বর্তমান বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ফাহিম। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার দুঃখ হয়, আমি কিন্তু সোজাসুজিভাবে আমাদের মানটাকে বিচার করি। পৃথিবীর মঞ্চে আমি যদি জায়গা পাই, তার মানে আমার অবস্থাটা ভালো।’
ফাহিমের মতে যোগ্যতা দিয়েই আইপিএলে সুযোগ করে নিতে হবে, ‘পৃথিবীর মঞ্চে আমি যদি জায়গা না পাই, তার মানে হচ্ছে আমার অবস্থাটা ভালো না। জোর করে কিন্তু... এই দেশে বলি, ওই দেশে বলি, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি বলি, ওই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ঢোকাতে পারবো না কিন্তু। যোগ্যতা থাকলে ঢুকতে পারবে।’
মোস্তাফিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর পর আইপিএলের সব আসরেই ছিলেন। সাকিব দুয়েকটি বাদে সব আসের ছিলেন। লিটন দাস এক আসর আগে খেলেছিলেন। কিন্তু এবার সুযোগ হয়নি কারও। তাসকিন বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও বিসিবি তাকে খেলতে দেয়নি। রিশাদের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে ফাহিম বলেছেন, ‘আমাদের জন্য সুযোগ ছিল, গত বছর বা তার আগের বছর কয়েকজন পেস বোলারের জায়গা হচ্ছিল বা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সেটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয় আমাদের চেষ্টা থাকা উচিত আন্তর্জাতিক এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর।’
অথচ পৃথিবীর সব দেশেই আইপিএলে কোন ক্রিকেটার সুযোগ পেলে তাদের ছেড়ে দেয় সংশ্লিষ্ট বোর্ড। একমাত্র বাংলাদেশেই কেবল দল পাওয়ার পরও সেই সুযোগ পান না ক্রিকেটাররা। আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের মান বাড়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে আইপিএল। দলটির বেশ কিছু ক্রিকেটার নিয়মিত আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে ফাহিম বলেছেন, ‘আমাদের জন্য খুব ভালো উদাহরণ হচ্ছে আফগানিস্তান, আফগানিস্তান শুধু এই করেই কিন্তু ওদের খেলোয়াড়দের ধীরে ধীরে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আস্তে আস্তে ওদের খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ছে এই জায়গায়, আমরা পিছিয়ে পড়েছি। আমাদেরকে এই জায়গাটা কাজে লাগানো উচিত। অদূর ভবিষ্যতে আমরা সেই চেষ্টা করবো।’