প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২:১০ পিএম আপডেট: ২৭.১১.২০২৪ ২:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিহত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নৃশংস হত্যাকারীদের দ্রুততার সাথে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা সরকারের আশু কর্তব্য। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া উগ্রদের থামানোর ব্যাপারে কোনোরূপ দ্বিধা করা যাবে না।
একইসঙ্গে সর্বস্তরের মুসলিমদের সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের এবং কোনো প্রকার চক্রান্তের ফাঁদে পা না দিতে অনুরোধ জানান তিনি।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, দেশের সকল ধর্মের দায়িত্বশীল ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিবর্গকে বলব, আপনারা নিজ নিজ ধর্মের অনুসারীদের শান্ত ও সুশৃঙ্খল থাকার আহ্বান জানান। কোনো কারণে এই দেশ যদি অশান্ত হয়, তবে ক্ষতিগ্রস্ত আমরা সবাই হব।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ইসকনের অনুসারীরা চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। এরপর তাকে তুলে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করে ইসকন সদস্যরা। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক হাসপাতালের নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মোক্তার উদ্দিন সাগর নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমার চোখের সামনে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আন্দোলনকারীদের একটি দল।
নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন।
সাইফুল ইসলাম ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন পান। সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।