প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
২০১০ সালে রাজশাহীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মহাসমাবেশ যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় বগুড়ার বিএনপি নেতা জাকির হোসেন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে জাকির হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে সিংড়া আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন আলী মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন পলকের শ্যালক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবীব রুবেল (৪১), সিংড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস (৪৩), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াদুদ (৫৬), পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডালিম আহমেদ ডন (৪৩) ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার (৪৩)। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১২২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন জাকির হোসেন। তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। ২০১০ সালের ৫ মে রাজশাহীতে বিএনপির মহাসমাবেশে যোগদান করতে যাওয়ার পথে নাটোরের সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলার শিকার হন। পরে তার মৃত্যু হয়।
এজাহারের বরাত দিয়ে নাটোর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা কামাল জানান, ২০১০ সালের ৫ মে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মহাসমাবেশ ছিল। ওইদিন জাকির হোসেন অন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে বাসযোগে সিংড়া হয়ে বগুড়া থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তৎকালীন নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের এমপি জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গাড়ির পথরোধ করেন।
তারা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে জাকির হোসেনকে মারধর করে সড়কে ফেলে ফাঁকা গুলি করে চলে যান। পরে তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা তাকে প্রথমে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নেওয়ার পথে জাকির হোসেন মারা যান।
নিহত জাকির হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া জানান, তিনি এ ঘটনায় মামলার চেষ্টা করলে সিংড়ার আওয়ামী লীগের নেতারা কয়েক বছর হুমকি দেন। ২০১৪ সাথে প্রধান আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলে মামলার আশা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বর্তমানে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হওয়ায় তিনি মামলা করেছেন।