প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চার বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাভারের ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকীকরণ এলাকার (ডিইপিজেড) লেনী ফ্যাশন এবং লেনী এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া পাওনাদি আদায়ের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মিছিল কর্মসূচি পালন করছে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে ডিইপিজেডের সামনের ওই মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছে কারখানার শ্রমিকরা।
এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, প্রায় চার বছর আগে করোনার দোহাই দিয়ে ২০২০ সালে লেনী ফ্যাশন লিমিটেড বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানা লে-আউট ঘোষণা করা হয়। কিন্তু শ্রমিকদের পাওনা ওই বছরের জানুয়ারি মাসের বেতন এবং সার্ভিস বেনিফিট না দিয়ে কর্তৃপক্ষ টালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে বার বার শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু বিগত চার বছরেও তা পরিশোধ করা হয়নি। সর্বশেষ ৩০ নভেম্বর শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধের দিন ধার্য করে বেপজা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি কিংবা নোটিশ এখনো দেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আজ (মঙ্গলবার) বকেয়া বেতন, আন লিভ সার্ভিস বেনিফিট পরিশোধের দাবি জানিয়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে তারা।
লেনি ফ্যাশন ইউনিট ওয়ানের শাহিদা পারভীন সুমি নামের শ্রমিক জানান, তিনি ওই কারখানায় সুয়্যিং হাইস্কেল অপারেটর পদে ১৭ বছর চাকরি করেছেন। ২০২০ সালে একদিনের বন্ধ দিয়ে পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা লে আউট ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বার বার পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু চারটি বছর পার হয়ে গেছে, এখনো পাওনা পরিশোধ করেনি।
তিনি বলেন, চারটি ইউনিটের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শ্রমিকের প্রায় ৬৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ দুটি ইউনিট বিক্রি করে দিয়ে ৮৪ কোটি টাকা নিয়ে গেলেও শ্রমিকদের কোনো পাওনা দেয়া হয়নি। অবলম্বে তাদের পাওনা বেপজা কর্তৃপক্ষকে পরিশোধের দাবি জানান।
হাসেম মোল্লা, রিনা, আঁখিসহ আরো বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, কর্তৃপক্ষ বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য বার বার তারিখ পরিবর্তন করে। তবে নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ সকল পাওনা দেয়ার তারিখ দেন বেপজা থেকে। কিন্তু এ সক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, ডিইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা আদায়ের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। আমরা বেপজা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত আছে বলেও তিনি জানান।