প্রকাশ: রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রায় ২২ লাখ টাকায় কেনা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ‘মানহীনতার’ অভিযোগ তুলে শিক্ষকদের অনেকে বলছেন, ব্যবহার না করায় অধিকাংশ মেশিন বিকল আছে।
অন্যদিকে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে (২৬টি স্কুল এবং ২১টি মাদ্রাসা) কোনো ডিজিটাল মেশিন নেই। সরকারের কোনো নির্দেশনা না থাকায় তা কেনা ও ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানান মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মাইনুদ্দিন।
তা ছাড়া কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় বরাদ্দ পেয়েও মেশিন স্থাপন করেনি। এতে প্রকল্পটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধানরা বলছেন, সরকারের এ কর্মসূচির পুরোটাই ভেস্তে গেছে। যদিও অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি, জাতীয়ভাবে ব্যবহার না হওয়ায় তারাও ব্যবহার করছেন না। শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় পর্যবেক্ষণে এসব মেশিন বসানো হয়।
এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কক্ষে হাজিরা মেশিনগুলো স্থাপন করা হয়। বার্ষিক ‘স্লিপ ফান্ডের’ খরচ থেকে প্রতিটি ১৮ হাজার ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয়ে মেশিনগুলো বসানো হয়েছিল।
সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অনেক শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসতে দেরি করেন। অনেকে দুপুরে ছুটি দিয়ে দেন। রয়েছে নানা অনিয়ম। এতে যন্ত্রের ব্যবস্থা করা হয়। সফলতা পাওয়া যায়নি।
রায়পুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মইনুল হোসেন বলেন, ১২১টি স্কুলেই ডিজিটাল হাজিরা থাকার কথা। করোনার আগেই সরকারের দেওয়া স্লিপের ১৮ হাজার টাকা দিয়ে মেশিনগুলো কেনা হয়েছে। ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার করার জন্য মাসিক সভায় প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কতটি মেশিন সচল আর কতটি অচল, তার তালিকাও চাওয়া হবে।