রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: ডেঙ্গুতে একদিনে বছরের সর্বোচ্চ মৃত্যু, আক্রান্ত ১০৭৯   মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিতে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব   সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার সময় বাড়লো   জেদ্দায় চলছে আইপিএলের মেগা নিলাম   ‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভাঙচুর   জিএসপি পেতে ১১ দফা বাস্তবায়নের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের   মাত্র ৩ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, উদ্বোধন ১ ডিসেম্বর   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিতে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আন্দালিভ রহমান পার্থ

আন্দালিভ রহমান পার্থ

বর্তমান সংবিধান সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ প্রস্তাব দেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান সংবিধানে সংযোজন করা প্রয়োজন। 

গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে: সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিজেপি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আমাদের রাষ্ট্রধর্ম যদি ইসলাম হয়ে থাকে তবে আমাদের মহানবী (সা.) নিয়ে কটূক্তি করলে শাস্তির বিধান রাখতে হবে। যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান সে দেশের সংবিধানে মহানবী (সা.) এর কথা থাকবে না সেটা আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারি না। জাতির জনক নিয়ে কথা বললে যদি ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয় তবে কেন আমাদের মহানবী (সা.) কে নিয়ে কথা বললে শাস্তির বিধান থাকবে না। মহানবী (সা.)কে নিয়ে কোনো প্রকার বাজে কথা বলা যাবে না এটা গুরুত্ব সহকারে সংবিধানে থাকা উচিত। এতে করে অন্য কোনো ধর্মকেও ছোট করা হবে না। কারণ আমরা এই ধারাতেই বলে দিচ্ছি, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও মানুষ অন্যান্য ধর্ম পালনে সমান মর্যাদা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, সংবিধানের ২(ক) নং পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে রাষ্ট্র হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্ম পালনে সমান মর্যাদা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। আমি মনে করি, গত ২০ বছর ধরে গ্লোবালাইজেশনের নামে আধুনিকতার নামে ধর্মকে আক্রমণ করারা প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। গণজাগরণ মঞ্চের সেই বিপ্লবের পর থেকেই এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থানকে ভিত্তি করে আমাদের ধর্ম, আমাদের মহানবী (সা.) কে বিভিন্নভাবে কটূক্তি করে অপমান করার একটি পায়তারা করছে একটি পক্ষ।

মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার আদলে ইসলামিক আদালত নির্মাণ করা উচিত বলে মনে করেন পার্থ।

তিনি বলেন, যারা ইসলামিক আইন দ্বারা সমস্যা সমাধান করতে চায় তাদের জন্যে ইসলামিক আদালত পরিচালনা করা যেতে পারে। সেটি যেকোনো বিষয়েই হোক না কেন। গ্লোবালাইজেশন ও মডারেশনের নামে আমরা দিন দিন আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ধর্ম থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। এখন ধর্মকে সবাই আধুনিক মনে করে না। কিন্তু আমি মনে করি এটাই যথার্থ সময় আমরা আমাদের মূলে পৌঁছানোর। আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ধর্মকে আবার আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিত।

বর্তমান সংবিধান ফ্যাসিস্ট বানানোর বড় কারখানায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিগত সরকার এই সংবিধানকে ব্যবহার করে বারবার মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, ভোটের অধিকার গণতন্ত্রের গলাটিপে সব ধ্বংস করে ফেলেছে। সুতরাং এই সংবিধান দিয়ে যেকোনো সরকার পরিচালিত হলে তাদের ফ্যাসিস্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি।

বিজেপি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রাসঙ্গিক হওয়া প্রয়োজন। এই সংবিধান আজকের দিনের কথা বলে না। সুতরাং এর সংস্কার চাই। সংবিধান সংস্কার করবে কে? আমি এখনো বিশ্বাস করি, সংবিধান সংস্কার করতে হলে জনগণের সরকারের প্রয়োজন। বিশ্বাস করি, নির্বাচিত সরকারই সংবিধান সংস্কার করার নৈতিক অধিকার রাখে।

প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, জুডিশিয়াল কমিশনের বিচারক নিয়োগ- এই ব্যাপারগুলো আগামী দিনে যারা সরকারে আসবে বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে, তাদের বসে এগুলো করা উচিত বলে মনে করেন বিজেপি চেয়ারম্যান। তিনি আরও বলেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ বাংলাদেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংসদ সদস্যের দায়িত্বের বিষয়ে সংবিধানে কিছু নেই উল্লেখ করে আন্দালিভ রহমান বলেন, সংসদ সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে পরিষ্কারভাবে সংবিধানে থাকা উচিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য হয় রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কোনো ধরনের বৈষম্য করা যাবে না, সংবিধানে এটা থাকা দরকার। 

পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সংবিধানের বিধান থাকা উচিত।

জার্মানিতে তাই করা হয়েছে উদাহরণ দেখিয়ে এ রাজনীতিক বলেন, মানুষের জন্য সংবিধান। সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। যেই সংবিধানে মানুষকে রক্ষা করে না তা মানুষই ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এটা প্রাসঙ্গিক হওয়া জরুরি। সংবিধান সংস্কার করতে হবে। তবে সেজন্য জনগণের সরকার প্রয়োজন। নির্বাচিত সরকারই কেবল সংবিধান সংশোধন করতে পারে।

বিজেপির মহাসচিব আবদুল মতিন সাউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল মতিন প্রকাশ, বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস মাতাব্বর, বাংলাদেশ জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক মো. হারুন–অর–রশিদ ও বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]