জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ দলটির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অসংখ্য মামলা হয়েছে, শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়াও। আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রশ্নে অনেকে বলছেন, দলটির ভূমিকার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এমন প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করার পরিণতি কী হতে পারে, তা জানালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার দিনগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সাদিকুর রহমান খান নামের এক ব্যক্তির পোস্ট শেয়ার করে নিজের মন্তব্য জুড়ে দেন হাসনাত।
পোস্টটি শেয়ার করে হাসনাত নিজের মন্তব্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি।’
অন্যদিকে মূল পোস্টদাতা সাদিকুর রহমান খান লিখেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইলে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পাবে, এইসব কথার কোনো মানে নাই। ভুলের ক্ষমা হয়, অপরাধের কোনো ক্ষমা হয় না। অপরাধের হয় শাস্তি। আর যখন সেই অপরাধ একটা দল বারবার করতে থাকে, তখন সেই দলের ক্ষমা কেন, চোখের জলেও বিশ্বাস করার পরিস্থিতি থাকে না।
তিনি লিখেছেন, হাসিনা তো জুলাই বিপ্লবের আহতদের জন্য কালো চাদর পরেছিল, কান্নাকাটি করেছিলেন মানুষের সামনে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। আবু সাঈদের ফ্যামিলিকে গণভবনে ডেকেছেন।
এরপর সে তার দুইদিন পর হেলিকপ্টার দিয়ে আরো বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। কাজেই, ওদের ক্ষমার মধ্যে অনুতাপ না, ওদের ক্ষমার মধ্যে থাকে আরও বেশি প্রতিশোধের আগুন।
সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি কখনো ক্ষমা চায়, জেনে রাইখেন, ওটা মানুষের ভালো করার জন্য ক্ষমা চাওয়া না; বরং মানুষকেও আরও বেশি শাস্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমা চাওয়া।
আওয়ামী লীগের প্রতিবার আগের চেয়ে পরের টার্মে নির্যাতন আর ধ্বংসের মাত্রা ছিল বেশি। কাজেই, এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করে দেওয়ার অর্থ হলো, আজ থেকে ২০ বছর পর আমাদের ৪০০০ সন্তানের মৃত্যু পরোয়ানাতে স্বাক্ষর করা, কথাটা যেন আমরা মাথায় রাখি।