শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই: ডিএমপি কমিশনার   ডেঙ্গুতে আরও ১০ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬   ফ্যাসিবাদের জনক শেখ মুজিবুর রহমান: ফখরুল   জ্বালানি খাতে ৩ মাসে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয়: উপদেষ্টা   ছাত্র আন্দোলনে একাই ২৮ রাউন্ড গুলি করা ফরিদ গ্রেপ্তার   তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে পুতিনের পাশে দাঁড়াবে কারা   হজে অনিয়মের অভিযোগে ২ এজেন্সিকে জরিমানা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন সুধীজনরা। সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়ে আসা সুধীজনরা এ পরামর্শ দেন। তবে এর আগে নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি।

তোফায়েল আহমেদ জানান, কমিশন যে সংস্কার করতে চাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচন ব্যয় অনেক কমে আসবে। বাঁচবে সময়। লাগবে অপেক্ষাকৃত অনেক কম জনবল।

সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রথমপর্বে টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কমিশন। বিকেলে মতবিনিময় করবে নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে ধারাবাহিক সংলাপে রয়েছে এই কমিশন। বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে কমিশন মতবিনিময় করেছে প্রিন্ট মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে। সেদিন সংস্কারের ছাড়াও নির্বাচনী অপরাধে সাবেক সিইসিদের শাস্তির পরামর্শ দেন সম্পাদকরা।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা নাগরিক সমাজের যে মতবিনিময় করেছি সেখানে সবার অভিমত হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়া উচিত। কারণ স্থানীয় নির্বাচন করার কারণে আমাদের কমিশনের সক্ষমতা বাড়বে। পরীক্ষা হয়ে যাবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যে সাপোর্ট দরকার হবে তা নিশ্চিত হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন একটা আর স্থানীয় নির্বাচন পাঁচটা। পাঁচটার মধ্যে তিনটা নির্বাচন-ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং উপজেলা। জাতীয় নির্বাচন ন্যাশনওয়াইড হয়। আর সিটি হয়তো লোকালাইজড। এখন নির্বাচনের আগে যদি নির্বাচনে যাই তাহলে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা ঝুলে যাবে। কারণ এখন আমাদের যে চিন্তা-ভাবনা স্থানীয় নির্বাচন যেটা আছে সেটা কোনো সিস্টেম নয়। আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠান, আলাদা আলাদা আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কোনো কমপ্রিহেনসিভ সিস্টেম নেই।

এই সংস্কারের বড় কাজ হবে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করে দেওয়া। এখন সিস্টেম কি হবে, যে সিস্টেম আছে সেটা আইয়ুব খানের ভাবনায় রেখে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের ১০ বছর পরে উপজেলা, তার ১০ বছর পর উপজেলা পরিষদ হয়েছে। এতে কম্প্রিজেন্সিভ কিছু হয়নি। এই সিস্টেম করার জন্য এখন মোক্ষম সময়। কেননা বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার কিন্তু নেই। কেবল ইউপি আছে। কাজেই ছবি আঁকার এটাই সময়। আমরা যদি সিস্টেম করতে পারি যে, একটা কম্প্রিহেন্সিভ আইন হবে। সেই আইনের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠান চলে আসবে। এতে একটা তফসিল দিয়ে সবগুলো নির্বাচন করতে পারবো। আগে যেমন মেয়র নির্বাচন করেছি, সিটি নির্বাচন বলছি না। সব আলো পড়ছে মেয়রের ওপর। অন্য স্থানীয় সরকারেও একই অবস্থা।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ বলে স্থানীয় সরকার যেখানে সফল, ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও সরাসরি মেয়র, চেয়ারম্যান নির্বাচন হয় না। কাউন্সিলর ও মেম্বার নির্বাচন হয়। তারা পরিষদে গিয়ে নির্বাহী কমিটি তৈরি করে। আমরা তেমন সিস্টেম তৈরি করতে চাই। তাহলে নির্বাচন অনেক লেস এক্সপেন্সিভ হবে। অনেক ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী হবে। এত লোকবল লাগবে না।

তিনি বলেন, একটা হিসাব করে আমি দেখেছি গত কমিশন যে স্থানীয় নির্বাচন করেছে এতে ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ১৯ থেকে ২০ লাখ লোক লেগেছে। ২২৫ দিনের মতো সময় লেগেছে। তাই স্থানীয় নির্বাচনে যদি পার্লামেন্টারি সিস্টেম নিয়ে আসি। তাহলে ইউনিয়ন, পৌরসভা বা সিটিতে যদি একই সিস্টেমে করতে পারি তাহলে খরচ চলে আসবে ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে। লোক লাগবে আট লাখ। সময় লাগবে ৪৫ দিন। তাহলে এই সিস্টেমে যাওয়ার জন্য অধ্যাদেশ করে যদি যান তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব। অথবা বর্তমানে যা আছে তা দিয়ে যদি স্থানীয় নির্বাচন করতে চান তাহলে পাঁচটা আইন দিয়ে পাঁচটা নির্বাচন করতে হবে। এতে জাতীয় নির্বাচনের আগে তা করা সম্ভব কি না তা নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে।

পার্লামেন্টের যে সদস্য তার মধ্যে স্থানীয় কোনো দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তার কাজ হচ্ছে সরকার কাজগুলো জবাবদিহিতার মধ্যে আনা। তিনি যদি সব উন্নয়ন করেন তাহলে তো কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট হলো তিনি জবাবদিহিতা করাবেন কাকে। সুতরাং সংবিধান অনুযায়ী এমপিরা এটা পারেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]