ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়হুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবে ব্রিটেন।
হেগভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক আদালত গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজা সংঘাতে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একজন মুখপাত্র শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, যুক্তরাজ্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার জন্য নির্ধারিত আইনি বাধ্যবাধকতাগুলিকে সর্বদা সম্মান (পালন) করবে। খবর আরটি
তিনি জানান, আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার সাথে সম্পর্কিত অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া কখনোই যুক্তরাজ্যে ব্যবহার করা হয়নি, কারণ এখন পর্যন্ত কোনও এমন ব্যক্তি ব্রিটেনে আসেননি, যাদের ওপর আইসিসির পরোয়ানার আছে।
এর আগে, হোম সেক্রেটারি ইয়ভেট কুপার বলেছেন, এই পরোয়ানা নিয়ে তার ‘মন্তব্য করা যথার্থ হবে না’, কারণ আইসিসি একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।
কুপার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুত্বকে সর্বদা সম্মানিত করেছি, তবে তারা যে সব মামলা নিয়ে কাজ করেছে, তা সাধারণত কখনোই ব্রিটিশ আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হয়নি। তবে আমি বলতে পারি, যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান হলো “গাজায় যুদ্ধবিরতির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। ”
লেবার এমপি এমিলি থর্নবেরি বলেছেন, যদি নেতানিয়হু ব্রিটেনে আসেন, তবে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অধীনে তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটা কোনো প্রশ্ন নয়, আমরা বাধ্য, কারণ আমরা আইসিসির সদস্য।
এখন পর্যন্ত, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম, এবং নরওয়ে ঘোষণা করেছে যে তারা আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে চলবে, তবে ফ্রান্স জানিয়েছে যে পরোয়ানাটি বৈধ, তবে ইসরায়েলি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা ‘আইনগতভাবে জটিল’ হবে।
এদিকে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান নেতানিয়াহুকে বুদাপেস্টে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইইউ এবং ন্যাটো সদস্য এই রাষ্ট্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।