পূর্ব ও দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫২ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এই হামলা পরিচালিত হয়।
লেবাননের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতে ইসরাইল এমন হামলা চালিয়েছে।
মার্কিন মধ্যস্ততাকারী আমোস হোস্টেইন গত মঙ্গলবার লেবানন সফর করেন এবং সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতির আলোচনা হওয়ার কথা জানান। তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেন।
লেবাননের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কিছু পরিবর্তন চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, দক্ষিণ লেবানন থেকে যত দ্রুত সম্ভব ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে।
গাজায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের সংঘর্ষ বন্ধ করতে বেশ জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে।
লেবাননের বালবেক হারমেল প্রদেশের গভর্নর বাছের খদর জানান, ইসরাইলি হামলায় বালবেক অঞ্চলে ৫২ জন নিহত এবং ২২ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। সিরিয়ার সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই অঞ্চলটি হিজবুল্লাহর দখলে রয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই অঞ্চলে ইসরাইলি হামলা শুরু হলে, অনেক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর অবকাঠামোকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে, এবং হামলার আগেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রেই জানিয়েছেন, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির পাশাপাশি দক্ষিণ উপকূলীয় শহর টায়রে এবং তার আশেপাশের এলাকাগুলোয় কয়েক দফা সরে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, দক্ষিণ শহরতলী থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়, সাধারণত একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক জেলা কিন্তু এখন অনেকটাই মানুষশূন্য দেখা যাচ্ছে।
লেবাননে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার ৫৮৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৫ হাজার ২৪৪ জন। সূত্র: রয়টার্স