প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৫ এএম | অনলাইন সংস্করণ
যশোরে পৃথক দুটি মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম ও আরেক যুবককে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) যশোরের অতিরিক্ত জেলা জজ সপ্তম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শাহরিয়ার ইবনে আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বেনাপোলের বড়আচঁড়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ফিরু ও সাতক্ষীরার আগরদাড়ি গ্রামের নইমউদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে শাহ আলম।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে একটি চুরির মামলায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজার ছেলে মোস্তফাকে এমপি মার্কেটের সামনে থেকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
চুরি হওয়া বাকি টাকা ও মোবাইল কোথায় আছে জিজ্ঞাসা করলে মোস্তফা জানান, তার মা ফিরোজার কাছে রয়েছে। পুলিশ পরে মোস্তফাকে সঙ্গে নিয়ে তার মা ফিরোজার ঘর তল্লাশি করা হয়। এ সময় খাটের নিচের একটি বাক্স থেকে তিনটি চোরাই মোবাইল ফোন ও নগদ ৬৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই বাক্স থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) এহসানুল হক। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ মামলাটি তদন্ত করে এসআই শরীফ হাবিবুর রহমান ফিরোজার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিনে আসামির উপস্থিতিতেই তার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে, অপর একটি মামলায় একই আদালত আব্দুস সালাম ওরফে শাহ আলমকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
শাহ আলমকে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মণিরামপুরের রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা আটক করেন। এ সময় শাহ আলমের কাছ থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে এসআই মোল্লা জিয়াদুজ্জামান আদালতে শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন।