মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারের দফতর ও সংস্থা ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ করা বাজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ত্রয়োদশ বৈঠকে মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহামম্মদ ইউনূস। পরে মন্ত্রিরপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আওতাধীন দফতর/সংস্থা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সর্বমোট ১ হাজার ২৬১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় সম্পর্কে উপদেষ্টা পরিষদ অবহিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে এ সংক্রান্ত বাজেট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
বৈঠকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মধ্যে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ২০১০ সালের ‘বিশেষ বিধান’ আইন রহিত করার নীতিগত ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পাশাপাশি প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর তারিখে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ এবং ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ একসঙ্গে উদ্যাপনের প্রস্তাবও বৈঠকে অনুমোদন পায়।
বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, অভিজ্ঞ, দক্ষ ও যোগ্য অতিরিক্ত অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি-জেনারেল নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান অ্যাটর্নি সার্ভিসকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৪’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।