বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: রাজধানীতে অটোরিকশা চালকদের রেল ও সড়ক অবরোধ   শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা    ধামরাইয়ে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে ৪ শ্রমিক নিহত, আহত ১৫    সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ, দিনভর যত আয়োজন   আজ গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়   তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে   সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
খেজুর রস আহরণে ব্যস্ত গাছিরা
যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৪১ এএম | অনলাইন সংস্করণ

কথায় আছে ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’ তাই শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই গাছ থেকে রস আহরণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে যশোর অঞ্চলে। গাছিরা খেজুর গাছ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। 

রস সংগ্রহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে খেজুর গাছের আগায় তোলা দেওয়ার কাজ চলছে। ধারালো দা (গাছি দা) দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করা হয়। যাকে যশোরের ভাষায় বলে, গাছ তোলা হয়। 

৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের মূল কাজ। তার কিছুদিন পরই গাছে লাগানো হবে মাটির পাতিল। সংগ্রহ করা হবে মিষ্টি স্বাদের খেজুরের রস। তা দিয়ে তৈরি হবে লোভনীয় গুড় ও পাটালি।

জানা যায়, খেজুরের রস আহরণের মধ্য দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। সে হিসেবে যশোরাঞ্চলে খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের পূর্ব প্রস্তুতি শীত আসার জানান দিচ্ছে। প্রস্তুতি হিসাবে খেজুর গাছের আগায় বিশেষ পদ্ধতিতে চলছে কাটাকুটির কাজ।

গাছিরা জানান, প্রথমে ধারালো দা দিয়ে খেজুর গাছের মাথার সোনালি অংশ বের করছেন তারা। এর ৮ থেকে ১৪ দিন পর নোলন স্থাপন করা হবে। এর সপ্তাহখানেক পর শুরু হবে সুস্বাদু খেজুর রস আহরণের কাজ। গাছ তৈরির এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাদের।

শীত মৌসুমে রস-গুড় উৎপাদন করে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এ উপজেলার কয়েক শত কৃষক পরিবার। এ থেকে স্থানীয় কৃষক অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হন। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হয়।

রস আহরণের প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা হয় যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, একটা গাছের ডাল-পালা কেটে প্রস্তুত করতে কয়েকদিন সময় লাগে। গাছির অভাবে বাইরে থেকে লোক এনে প্রাথমিক কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে। এরপর রস আহরণের কাজ নিজই করবো।

একই গ্রামের আবু জাফর বলেন, ‘আমাদের গ্রামে অন্তত দশ হাজার খেজুরের গাছ রয়েছে। গাছি আমরা তিনজন। এই তিনজন মিলে এক হাজারের মত গাছ কাটতে পারবো। বাকি গাছ পড়ে থাকবে। কিছু মানুষ বাইরের জেলা থেকে লোক এনে গাছ প্রস্তুতির কাজ করছেন। গাছির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খেজুরের রস ও গুড় উৎপাদন করে বেশ লাভবান হওয়া যেত।

সরেজমিনে দেখা যায় যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়ায় খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ প্রস্তুত কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উঠান বৈঠক, গাছি সমাবেশ, খেজুরের গুড়ের মেলা ও ব্যাপকভাবে খেজুর গাছ রোপণ করা হয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]