প্রকাশ: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:০০ এএম | অনলাইন সংস্করণ
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ মহাপরির্দশক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক বহিষ্কৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ আটজনকে আজ হাজির করা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
মামুন ও জিয়া ছাড়া বাকি ছয়জন হলেন– ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হবে তাদের।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিচারকরা এজলাসে উঠবেন। এর আগেই হাজির করা হবে আসামিদের।
জুলাই-অগাস্টের ‘গণহত্যার’ মামলায় এর আগে সোমবার সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও সাবেক একজন বিচারপতিসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অর্ধশতাধিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমাতে, বিভিন্ন সময় তারা মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া, অন্যান্য হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায়ও তারা এজাহারভূক্ত আসামি। গত ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।