পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় রেজাউল করিম (৪৫) এক ভুয়া কবিরাজকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক আটক এবং ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাহারুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে এই কারাদণ্ড প্রদান করেন।
জানা গেছে, আটঘরিয়া পৌরসভার ধলেশ্বর গ্রামের মৃত আবু বক্কার হোসেন এর ছেলে ভুয়া কবিরাজ রেজাউল করিম দীর্ঘদিন ধরে অসহায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছে।
এদিন সকালে পাবনা জেলা এনএসআই এর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভুয়া কবিরাজ রেজাউলকে হাতে নাতে ধরে ২০২৪ সালের ৬৩/২০২৪ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ সালের ৪১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. কামরুজ্জামান, জেলা এনএসআই পাবনার একটি টিম সহ স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
এলাকাবাসী জানান, রেজাউল করিম প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ বিভিন্ন এলাকার মানুষকে বলে আসছিলেন, আমার কাছে হিন্দু জীন আছে, আমার মেয়ের কাছে মুসলমান জীন আছে, এসব জীন সৌদি আরবের মক্কা মদিনা, ভারতের কামরুপ কামাখ্যা থেকে আসে।
তিনি স্বপ্নের মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান অনুযায়ী, প্যারালাইসিস, জিন ভুতের আছর, স্বামীর সংসার জোড়া লাগানো, ভাঙ্গা প্রেমে জোড়া লাগানো, মনের মানুষকে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, যৌনমিলনে অক্ষম, বিবাহিত মেয়েদের বাচ্চা দানে অক্ষমদের বাচ্চা হওয়ানোর ব্যবস্থা করা সহ বিভিন্ন রোগের সুচিকিৎসা করার কথা বলে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘদিন ধোঁকা দিয়ে আসছিলেন। তিনি চিকিৎসা বাবদ নগদ অর্থ, মুরগী, পাঁঠা, ছাগল উপহার হিসেবে নিতেন।
ভুয়া প্রতারক কবিরাজ রেজাউল করিমের আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত মালামালগুলো হলো, ৫টি মাথার খুলি, তসবি, হিন্দুধর্মের বই, ত্রিশুল, একটি লোহার বড় চেইন, শঙ্খ, সিঁদুর, মেয়ের ছবিসহ আরও বিভিন্ন গাছগাছালির ছাল উদ্ধার করা হয়।