প্রকাশ: রোববার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ব্যবসায়িক অংশীদারদের যোগসাজশে জুলাই গণহত্যার মামলায় ফাঁসানো হয়েছে পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামকে।
রোববার সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের মিডিয়া রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মামলা দুটির একটি কদমতলী থানায় অপরটি উত্তরা পশ্চিম থানায় হয়েছে। মামলায় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামকে যুবলীগ নেতা হিসেবে দেখানো হয়েছে। আর দুটি মামলায়ই এক নম্বর আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার সাবেক ব্যবসায়িক পার্টনার আসাদুল ইসলাম ও আমির হোসেন ষড়যন্ত্র করে আমাকে জুলাই গণহত্যা মামলার আসামি করেছেন। কারণ তারা আমার ১৪ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলার আসামি। অর্থ আত্মসাতের মামলা থেকে বাঁচতে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজের কোনোরকম সম্পর্ক না থাকলেও মামলার এজাহারে আমাকে যুবলীগের নেতা উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এটা ডাহা মিথ্যা। আমাকে যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো এ ঘটনার তদন্ত চাই। মাননীয় আইন উপদেষ্টা তদন্ত করে মামলা দায়ের করার রহস্য উন্মোচন করবেন, এই দাবি জানাচ্ছি।’
গত ২৮ মার্চ জাল-জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আগাম জামিন নিতে আসা আসামিদের হামলার শিকার হন রাজধানীর বাড্ডার পাথর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কাছে আবেদন করেন।
আমিনুল ইসলাম সেদিন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে হামলা ও মারধরের ঘটনায় গত ৪ মার্চ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিআর মামলা নং-৮৯/২৪ দায়ের করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি বরাবর প্রেরণ করেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ প্রদান করেন।
সিআইডি তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামান মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন। আমি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র প্রদান করি। এসপি আনিসুল ও এএসপি মো. সালাউদ্দিনসহ তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. আমির হোসাইনের কাছ থেকে অনৈতিক অর্থপ্রাপ্ত হয়ে মামলাটির কোনোরূপ তদন্ত ছাড়াই আমার প্রতিষ্ঠানের দুই জন কর্মকর্তার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় কোনোরূপ জবানবন্দি না নিয়ে মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার উদ্দেশ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬১ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে গত ১৮ আগস্ট দীর্ঘ চার মাসের বেশি সময়ক্ষেপণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এমন কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য সব পুলিশ কর্মকর্তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বলে মনে করি। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করছি।