প্রকাশ: রোববার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের মণিপুর রাজ্যে সহিংসতা যেন থামছেই না। রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে অন্তত দুই মন্ত্রী ও তিন সংসদ সদস্যের (এমপি) বাড়িতে হামলা করেছে বিক্ষোভকারীরা। হামলার পর ইম্ফল পশ্চিম প্রশাসন জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) জিরিবাম জেলায় ছয়জনকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতেই বিক্ষোভ থেকে এই হামলা হয়েছে। এই হামলার পর ইম্ফল পশ্চিম প্রশাসন জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছ।
এ ছাড়া ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাকচিং, কাংপোকপি ও চূড়াচাঁদপুরে দুদিনের জন্য ইন্টারনেট ও মোবাইল ডেটা পরিষেবা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লামফেল সানকেইথেল এলাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সাপম রঞ্জনের বাসভবনে একদল বিক্ষুদ্ধ জনতা হামলা চালায়। একই দিন ইম্ফল পশ্চিম জেলার সাগোলব্যান্ড এলাকায় বিজেপি বিধায়ক আর কে ইমোর বাড়ির সামনে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হয়ে হামলা করে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের জামাতা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ওই ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় ‘সরকারের উপযুক্ত জবাব’ দাবি করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
তিদ্দিম রোডে কেইশামথং এলাকার স্বতন্ত্র বিধায়ক সাপম নিশিকান্ত সিংয়ের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভকারীরা জানতে পারেন যে তিনি রাজ্যে নেই। পরে তারা তার মালিকানাধীন একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের অফিসে আক্রমণ চালায় বলে জানান আরেক সিনিয়র কর্মকর্তা।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে জিরিবাম জেলায় আসাম সংলগ্ন এলাকা থেকে মৈতৈ সম্প্রদায়ের তিন নারী ও তিন শিশুকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহৃতদের মধ্যে আট মাসের একটি শিশুও ছিল। পাঁচদিন পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে হিন্দু প্রধান মৈতৈ সম্প্রদায় এবং খ্রিস্টান প্রধান কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।