আন্তর্জাতিক মডেলিংয়ে সিফাত নুসরাত
বাংলাদেশে মডেলিং জগতের তরুণ সিফাত নুসরাত। দেশে একটানা তিন বছর ব্রাইডাল মডেল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন তার বিচরণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন প্রোডাক্ট মডেলিং থেকে শুরু করে নানান কাজ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক শোবিজে তার যাত্রা এবং দেশ-বিদেশে ভবিষ্যৎ কাজের পরিকল্পনা নিয়ে জানালেন দেশের সম্ভাবনাময়ী মডেল সিফাত নুসরাত।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের সুযোগ প্রসঙ্গে এই মডেল বলেন, আমি বাংলাদেশে একটানা তিনবছর ব্রাইডাল মডেল হিসেবে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছি, এবং একটানা কাজ করেছি, সেই সূত্রেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্রাইডাল ওয়ার্কশপ গুলোতে মডেল হিসাবে আমাকে ডাকা হতো, এভাবেই ফরিদপুরের একটা ওয়ার্কশপের আকলিমা বেগম (মেকাপ আর্টিস্ট ) আমাকে তার মডেল হিসেবে নিয়ে যান এবং সেটাই বলতে পারেন আমার ক্যারিয়ারে একটা লাকি ওয়ার্কশপ ছিলো, ওখানে আমাকে স্টেজ দেখেন কারমা ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার অঞ্জনা রয়। সেখান থেকেই তিনি আমাকে কলকাতার নেক্সট এতটা ওয়ার্কশপের মডেল হিসেবে ইনভাইট করেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব ব্রান্ডের সাথে কাজ করা হয়েছে সে সম্পর্কে সিফাত নুসরাত বলেন, কলকাতাতে যখন আমি কারমা ইন্টারন্যাশনালের ওয়ার্কশপে যায় ওখানে সব ব্রান্ডের অওনাররা ছিলেন , সেখান থেকেই আমাকে দেখে তারা সরাসরি অঞ্জনা রয়ের সাথে কথা বলেন এবং তিনিই আমার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেন, প্রথমে আফলাইজা, রিকোড এর সাথে আমার কাজ হয় এবং কাজটা রিলিজ পাওয়ার পরে, কারমা সাথে পুনরায় যোগাযোগ করেন ফরএভার ফিফটি টু, তারাও আমাকে তাদের ব্রান্ডের মডেল হিসেবে চুক্তি বদ্ধ হতে চান, দ্যান আমাকে তারা কলকাতাতে নিয়ে যান এবং আমি তাদের সাথে এভাবেই কাজ করি।
তিনি বলেন, ‘আমি যদি বাইরে কোথাও যায় বুঝে নিবেন কোনো কাজ ছাড়া যায় না, কাজ ঘুড়াঘুড়ি একটা টাইম করে নেই, তানাহলে আমি সময় করে উঠতে পারিনা।এবারও বেশ কিছু কাজ নিয়ে যাচ্ছি সকলের দোয়া থাকলে কাজের পরে জানিয়ে দিবো।আপাতত এতটুকু বলতে পারি যাওয়ার আরও একটা কারণ হচ্ছে কারমার ইন্টারন্যাশনাল মেকাপ কারনিভাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানুয়ারিতে।’
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে এই মডেল বলেন, ‘অনেক অনেক অনেক বেশি ডিফরেন্ট, আমি একজন বাংলাদেশি মডেল সেখানে কাজ করতে গেছি সেটা তারা আমাকে বুঝতেও দেয় নাই, কতটুকু সম্মান একজন আর্টিস্টিকে করলে সে কাজটা পরবর্তীতেও করতে আগ্রহী হয় সেটা তারা জানেন এবং আমি বারবার তাদের সাথে কাজ করতে চাই।’
কারমার সাথে চুক্তি বিষয়ে তিনি জানালেন, আমি তিনটা আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের সাথে কাজের সুযোগ পাওয়ার পরে কারমা আমার সাথে তিন বছরের চুক্তি করেছে, আমাকে চার মাস তারা আগে পর্যবেক্ষণ করেছে, যে আসলেই আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে কতটা সিরিয়াস, যখন তারা দেখেছে সব ভালো ব্রান্ড গুলো আমাকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং আমিও দেশের বাইরে মুভ করে শুট গুলো করতে পারছি , তখন তারাও আমার উপর বিশ্বাস এনেছে, একটা কাজের উপর ডিপেন্ড করে কারমা কোনো মডেলের সাথে সাইনিংয়ে আসেন না। আর বাংলাদেশ থেকে বাইরে মুভ করে শুট করা বারবার শুটের পারপাসে সেটাও কম কথা না, যেহেতু সবগুলো ইন্টারন্যাশনালি ব্রান্ড তাই শুট গুলো সবই দেশের বাইরে হয়। যেকারণে তাদের মনে একটু সংশয় থাকলেও আমি সেই সংশয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।