শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: ভারত থেকে ফেরার পথে সীমান্তে ২ তরুণী আটক   রাজধানীতে ফের অটোচালকদের অবরোধ, পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলা বন্ধ   অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে পাম বন্ডিকে নিলেন ট্রাম্প   ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্টে ১৪৫০০ কোটি টাকা   ‘গণঅভ্যুত্থানের চেতনা থেকে সরে আপসের পথে রাজনৈতিক দলগুলো’   ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন শ্রমবিষয়ক প্রতিনিধি দল   লেবাননে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৫২   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
মায়ের মৃত্যু-বাবা জেলে
সেই চার শিশুর জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

যমজ দুই কন্যাশিশুর জন্মের এক সপ্তাহের মাথায় মৃত্যু হয় মায়ের। তার কয়েকদিন পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বাবা যান কারাগারে। এ পরিস্থিতিতে আরও এক বোনসহ মোট তিন বোনকে নিয়ে ১৩ বছরের সাজ্জাদ পড়ে চরম বিপাকে।

এমন সংবাদ নজরে আনায় স্বপ্রণোদিত হয়ে সেই শিশুদের দেখভালে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

তিন বোনকে নিয়ে ১৩ বছরের সাজ্জাদ চরম বিপাকে- এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চান এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শিশুদের খাবার-দাবার ও সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে আদেশ দেন।  

তিনি জানান, পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস যোগাযোগ করে আদালতকে জানায়, স্থানীয় প্রশাসন ওই শিশুদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে। ওই শিশুদের অবস্থা সময়ে সময়ে তদারকি করে আদালতকে জানানো হবে।     

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৩ বছরের সাজ্জাদের কোলে ফুটফুটে এক কন্যাশিশু। সাত বছরের ফারিয়ার কোলে আরেকজন। যমজ এ শিশুরা সাজ্জাদ-ফারিয়ার ছোট বোন। মাসখানেক আগে তারা পৃথিবীতে আসে। কিন্তু জন্মের এক সপ্তাহের মাথায় হারায় মাকে।  

বাবা বর্তমানে কারাবন্দি। দুই শিশুসহ ছোট তিন বোনকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে সাজ্জাদ। এ অবস্থায় চার শিশুই খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিন পার করছে। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চিত্রাপাড়া গ্রামের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে জামাল মিয়ার স্ত্রী সাথি বেগম একসঙ্গে দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এর সাত দিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর চার সন্তানের লালনপালন করছিলেন জামাল মিয়া। তার বড় ছেলে সাজ্জাদ এম এম খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

গত শুক্রবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদার হত্যা মামলায় জামালকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় কোটালীপাড়া পুলিশ। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয় জামালকে। পরে শনিবার জামালকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সাজ্জাদের চাচা মনির মিয়া বলেন, আমার ভাই বর্তমানে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত নন। একসময় আমতলী ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ কী কারণে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেলে পাঠিয়েছে, জানা নেই।

তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের প্রথম সন্তান সাজ্জাদ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। দ্বিতীয় সন্তান ফারিয়া প্রথম শ্রেণিতে। এ ছাড়া এক মাস বয়সী আরও দুই মেয়ে আছে। তাদের সঙ্গে আমার বৃদ্ধ মায়ের দেখাশোনাও করত আমার ভাই। দ্রুত আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।

কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকার তেজগাঁও থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন জামাল মিয়া। তিনি কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা দিদার হত্যা ঘটনায় জড়িত। সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]