প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১:৪৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু সালেহ এবং মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আকস্মিকভাবে ১৬ নভেম্বর শনিবার অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বানের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেন, প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রকে উপেক্ষা করে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার পরিবর্তে নভেম্বরে অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বান সৎউদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। সর্বদাই নভেম্বরের এই সময় দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বানের গঠনতান্ত্রিক বিধান অনুসরণ করেনি। কী কারণে কোন উপযুক্ততার আলোকে তা আহ্বান করছে, তাও স্পষ্ট করেনি। দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরশাসনে জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচনগুলো এতোদিন স্বৈরাচারের ভয়-ভীতিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার ঐতিহাতিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে নতুন পদযাত্রার সূচনা ঘটেছে, তাতে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৪-এর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় একটি সুষ্ঠু এবং ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচনের জন্য সাংবাদিকেরা অপেক্ষা করে আসছেন। এই সময় হঠাৎ বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির উল্টো পথে চলা মতলববাজীর অংশ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা গঠনতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার পক্ষে দৃঢ়ভাবে মতপোষণ করেন।
জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতৃদ্বয় উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের সংবিধান এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র এখনও রহিত নয়। দেশে কোনো জরুরি অবস্থাও নেই। পূর্ণ গণতন্ত্র বিরাজ করছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরামের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতএব জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচন কোনও কারণেই অনুষ্ঠিত না হওয়ার কথা নয়।
বিবৃতিতে এই অতিরিক্ত সাধারণ সভা স্থগিত করে ডিসেম্বরে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজনের বিজ্ঞপ্তি প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়।