প্রকাশ: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:২৭ পিএম আপডেট: ১৩.১১.২০২৪ ১০:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
তাবলিগ-জামাতের বিবদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে আলমি শুরাপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও মাওলানা সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন এবং মহাসম্মেলন করে উভয় পক্ষ কাকরাইল মসজিদে তাদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য চায়। শুরায়ি নেজামপন্থিদের দাবি, কাকরাইল মসজিদ এবং টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সবসময়ের জন্য উলামাবিদ্বেষী সাদপন্থি মুক্ত রাখতে হবে।
অন্যদিকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা কাকরাইল মারকাজ সম্পূর্ণভাবে নিজামুদ্দীনের অনুসারীদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। তাবলিগের দুই গ্রুপের দাবি ও দ্বন্দ্ব ক্রমেই সংঘাতে রূপ নেওয়ার আগে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে জানানো হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে আগের নিয়মে তাবলিগের কাজ চলবে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কাকরাইল মসজিদ ও তাবলিগ বিষয়ে জরুরি বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ বর্তমানে নানা ষড়যন্ত্রে জর্জরিত। দেশের সংকটময় এই পরিস্থিতি যাতে আরও জটিলতার দিকে না যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করা সবার দায়িত্ব। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সরকার ও দেশপ্রেমী জনগণ সবার কর্তব্য।
সেই উদ্দেশে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আলোচনার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ধর্ম উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যৌথভাবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে তাবলিগের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ফলে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে আমল ও অবস্থানের বিষয়ে পূর্বের তরতিব বা নিয়ম মেনে নিয়ে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করার ব্যাপারে উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ ও কাকরাইলের পক্ষ থেকে সবাই একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, দিল্লির মাওলানা সাদ বাংলাদেশে আসবেন না- মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সেই সঙ্গে শুরায়ি নেজামের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।
আলেম-উলামা, তাবলিগের সাথী ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে এ বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন উলামা-মাশায়েখের পক্ষ থেকে মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ।