বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এর আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
গতকাল সোমবার (১২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া পোস্টে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের নব নিযুক্ত দুই উপদেষ্টা আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশিরউদ্দীন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রামে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, সভা থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে হাসনাত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বশির-ফারুকীকে উপদেষ্টা করার প্রতিবাদ সভা থেকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা চরম ফাইজলামি। এগুলা ভণ্ডামি। আপনেরা হাসিনা হয়ে উঠার চেষ্টা কইরেন না। হাসিনারেই থোরাই কেয়ার করছি, উৎখাত করছি। আপনেরা কোন হনু হইছেন?’
এরপর তিনি নিজের প্রোফাইল পিকচার লাল করে আরও একটি পোস্ট দেন। তাতে হাসনাত লেখেন, ‘সাঈদ ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। ১৩৪ শে জুলাই, ২০২৪।’
এর আগে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিনকে যুক্ত করার প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মানববন্ধনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় মশকরা হচ্ছে ছাত্রদের সাথে। ছাত্রদের রক্তের ওপর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরাপত্তা দিতে শিক্ষার্থীরা বারবার রাস্তায় নামবে না। নতুন যাদেরকে উপদেষ্টা বানানো হয়েছে, দেশের জন্য তাদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অতি দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন শপথ নেয়া উপদেষ্টা ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে অপসারণের দাবি করেন।
রোববার বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন—ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। এর মধ্যে ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।